কলাপাড়ায় রনজিৎ‘র মৃত্যুরহস্য উম্মোচন দাবি!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় রনজিৎ‘র মৃত্যুরহস্য উম্মোচন দাবি!
সোমবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৩


কলাপাড়ায় রনজিৎ‘র মৃত্যুরহস্য উম্মোচন দাবি!

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রনজিৎ দেবনাথের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছোট বোন মৃদুলা দেবনাথ। সোমবার বেলা বারোটায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার পিতা রবিন দেবনাথ, মা কল্পনা রানী ও ভাই শংকর দেবনাথ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মৃদুলা দেবনাথ উল্লেখ করেন, কলাপাড়া পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃদুলার বড় ভাই রনজিৎ দেবনাথ ২০২০ সালে মাদারীপুরের রাজৈর এলাকার বরীন্দ্রনাথ বাড়ৈর মেয়ে পদ্মা রানী বাড়ৈর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের অজান্তে ২০২১ সালের ০৬ জানুয়ারী তারা কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ করে। জয়পুরহাট রুরাল ডেভলপমেন্ট মুভমেন্টে প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকুরীর সুবাদে স্ত্রী পদ্মা রানীকে নিয়ে তিনি সেখানে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তাদের সাত মাসের একটি সন্তানও রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে মৃদুলা দাবী করেন, শুরু থেকেই পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ চলে আসছিল। ১৭ ফেব্রুয়ারী রাতে সইে ভাড়া বাসায় তার মৃত্যু হয়। রনজিতের মৃত্যু অনেকটা রহস্যজনক হয়েছে। ফ্যানের পাখার সাথে তার গলাতে ওড়না প্যাচানো থাকলেও তার এক পা ফ্লোরে আরেকটা পা খাটের উপরে ছিলো। রনজিতের গলায় কোন রশির কাটা দাগ ছিলনা। জিহ্বা বের করা ছিলোনা। তার গলাতে আঘাতের দাগ, বুকে কামড়ের দাগ এবং কিডনি বরাবর আঘাতের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। যা ফাঁস দিয়ে আতœহত্যার কোন লক্ষন নয়। পদ্মা রানীর চিৎকারে বাড়িওয়ালী সবার প্রথমে আসে। বাড়ীওয়ালীর ভাষ্যমতেও এটা স্বাভাবিক মৃত্যু ছিলনা।
মৃদুলা অভিযোগ করেন, মৃত্যুর পর রনজিৎকে ময়নাতদন্ত করাতে রাজি ছিলনা তার স্ত্রী ও শ্বশুর। জয়পুরহাট সদর থানা থেকে পটুয়াখালী প্রশাসনকে অবহিত করা হলে তারা ময়নাতদন্ত করে লাশ পাঠানোর কথা বলে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত শেষে কলাপাড়ায় লাশ পাঠানো হয়। এখনো ময়না তদন্তের রিপোর্ট বের হয়নি। কিন্তু পদ্মা রানী ও তার পরিবার এনিয়ে তাদের বাড়াবাড়ি না করার জন্য রনজিতের বাবা, মা এবং বোন জামাইকে মারধরের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে অচেনা নম্বর থেকে। শুধু তাই নয় রনজিতের ভাড়া বাসায় সকল মালামাল আত্মসাত করেছে পদ্মা রানী ও তার বাবা। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে সবার মোবাইল নম্বর ব্লাকলিষ্ট করে রেখেছে।
জয়পুরহাট রুরাল ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্টের বর্তমান প্রকল্প ব্যবস্থাপক স্বপন খালকো জানান, রনজিৎ স্যারের বাসার সকল মালামাল থানায় হ্যান্ডওভার করেছি। থানা তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে মালামাল বুঝিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে রনজিতের স্ত্রী পদ্মা রানী বাড়ৈর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। রনজিতের শ্বশুর রবিন্দ্রনাথ বাড়ৈ বলেন, রনজিৎ দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। তার বাবা-মা তাকে রেখেছিল। রনজিতের কাছে ওই এনজিও ৯০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। সেসব টাকা পরিষোধ করে থানার মাধ্যমে আমার মেয়ে মালামাল নিয়ে এসেছে। আমার মেয়ে যদি রনজিতকে কিছু করে থাকে তাহলে সেটা পোষ্টমর্টেমে বেড়িয়ে আসবে।
জয়পুরহাট সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন বের হলে আসল রহস্য উদঘটিত হবে। পরবর্তীতে সে অনুয়ায়ী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:২৮:১২ ● ৭৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ