গোপালগঞ্জে স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ!

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » গোপালগঞ্জে স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ!
সোমবার ● ১৩ মার্চ ২০২৩


গোপালগঞ্জে স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ!

গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৪৪ নং নিজড়া সিকিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও বর্তমান সহকারী শিক্ষিকা উজ্জ্বলা রানী দাসের বিরুদ্ধে  ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয়ের রেজুলেশন বইতে বিদ্যালয় ম্যানেজিং  কমিটির সভাপতিকে অনুপস্থিত দেখিয়ে  সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে শিক্ষার্থীদের খেলনা সামগ্রী কেনার রেজুলেশনে  স্বাক্ষর জাল করেন ওই শিক্ষিকা। রেজুলেশনে দেখা যায় সভাপতি না থাকায় সহ-সভাপতি কে সভাপতি করে ক্রয় কমিটি গঠন করা হয় ।  কিন্তু রেজুলেশন আবার সভাপতি সিল ও স্বাক্ষর করে নেন সহকারী শিক্ষিকা উজ্জ্বলা রানী দাস।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন,  সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বলা রানী দাস আমার স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের খেলনা সামগ্রী ক্রয়ের ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার নামমাত্র টাকায় দোলনা স্মগ্রী ক্রয় করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছে ।  বিদ্যালয় কোন বরাদ্দ আসলে আমাদেরকে না জানিয়ে তিনি নিজের ইচ্ছামত খরচ করে।  এ সমস্ত সামগ্রী ক্রয়ের  জন্য  তিনি কোন সভা করে ক্রয়কমিটি গঠন করেন না। নিজের ইচ্ছা মতো রেজুলেশন লিখে নিজেরাই আমাদের স্বাক্ষর করে নেয়।  এভাবে স্কুল উন্নয়নের  অনেক টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং  কমিটির সভাপতি  রমেন্দ্রনাথ বাছার বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের খেলনা সামগ্রী করার জন্য এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে।  আমাদেরকে না জানিয়ে নিজের ইচ্ছামত তিনি রেজুলেশন লিখে স্বল্প মূল্যে খেলা সামগ্রী ক্রয় করেন। রেজুলেশনে তিনি আমাকে ভারতে থাকার কথা উল্লেখ করলেও আমি ভারতে ছিলাম না।  সেখানে তিনি পরে আবার আমারও স্বাক্ষর করে নিয়েছেন।  এভাবে তিনি বিদ্যালয়ের অনেক অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষিকা উজ্জ্বলা রানী দাস বলেন,  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা  (এটিও) রত্মা দেবনাথ যেভাবে বলেছে আমি সেভাবেই করেছি।   তারা আমাকে উলপুর বাজারের  একটি ওয়ার্কসপ দেখিয়ে দিয়ে বলেছে আপনারা ৫ বিদ্যালয় এই ওয়ার্কসপ থেকে খেলনা সামগ্রী ক্রয় করেন। আমি তাই করেছি। আপনারা আমার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।  আমি আর কিছু বলতে পারব না।

এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আব্দুল হামিদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাকে কেউ এখনো কিছু জানায়নি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বাহিরে গিয়ে প্রধাণ শিক্ষক কিছুই করতে পারে না।এ ব্যাপারে আমি কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবো।


এইচবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৬:৪৪ ● ২৪৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ