আমতলীতে আ‘লীগ নেতার ঔধত্যপূর্ণ বক্তব্যে নিন্দার ঝড়

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে আ‘লীগ নেতার ঔধত্যপূর্ণ বক্তব্যে নিন্দার ঝড়
বৃহস্পতিবার ● ২ মার্চ ২০২৩


আমতলীতে আ‘লীগ নেতার ঔধত্যপূর্ণ বক্তব্যে নিন্দার ঝড়

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

একটা জিনিষ মনে রাখবেন সারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমতলীতে আসেন, একটা প্রোগ্রাম করেন, তাহলে আমতলীর যিনি মেয়র, ওই মেয়রের কাছ থেকে তিনি পারমিশন নেন ওই তারিখের। এটা আপনারা জানেন কিনা জানিন? ওই তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সভা হবে তার (মেয়র) কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। তার পরে প্রোগ্রাম সেলেক্ট হয়।
আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে পুনঃনির্বাচনে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে নৌকা প্রতিকের এক সভায় গত মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুস সালাম সোহেল মোল্লা। তার এমন বক্তব্যের ৫০সেকেন্ডের একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে এবং এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সকলের অভিযোগ পৌর মেয়র পদ এতোই বড় যে, প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম করতে হলে মেয়রের অনুমিত নিতে হয়। এ ভিডিও ভাইরাল হলে আমতলী উপজেলার তৃণমুল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সোহেল মোল্লার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী উঠেছে। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম রিপন হাওলাদার, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ, ইউপি সদস্য মোঃ নাসির মোল্লা ও মতিয়ার রহমান হাওলাদারসহ শতাধিক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আওয়ামীলীগ কর্মী বলেন, পৌর মেয়র পদ কি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বড়? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমতলীতে আসতে হলে পৌর মেয়রের অনুমতি লাগবে। এমন জঘন্য বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা আব্দুস সালাম সোহেল মোল্লার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম রিপন হাওলাদার সভায় উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, নৌকা প্রতিকের সভায় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি বক্তব্যে দলের চেইন অফ কমান্ড বুঝাতে চেয়েছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রোগ্রাম করতে হলে পৌর মেয়রের অনুমিত লাগবে এটা কেমন কথা? তবে তিনি আরো বলেন, পুরো ভিডিও শুনলে হয়তোবা বুঝা যেত, তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন ?
এ বিষয়ে আঠারোগাছিয়া আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুস সালাম সোহেল মোল্লার মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান বলেন, ভিডিও আমি শুনেছি। এতো বড় ঔদ্ধত্যপুর্ণ বক্তব্য কেন তিনি দিয়েছেন তা আমার জানা নেই? এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে আমার কাছে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ফোন দিয়ে নিন্দা জানাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, আমি এ ভিডিওর বিষয়টি বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগকে জানাবো। তারা যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন সেই অনুসারে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৬:৪৪ ● ৭৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ