আমতলীতে তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা মতিয়ার রহমান

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা মতিয়ার রহমান
বুধবার ● ২ নভেম্বর ২০২২


আমতলীতে তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা মতিয়ার রহমান

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

তৃণমুল নেতাকর্মীদের স্বারথী ও আস্থার প্রতীক আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। তার কর্ম দক্ষতায় তিনি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে হ্যামিলিয়নের বাশিওয়ালা। যে খানেই তার পদচারণা সেখানেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দলের তৃণমুল নেতাকর্মীরা হ্যামিলিয়নের বাশিওয়ার মত পিছু ছুটে বেড়ায়। সাধারণ মানুষ ও দলের নেতাকর্মীদের জন্য নিবেদিত প্রাণ তিনি। তার দক্ষ সাংগঠনিক কার্যক্রম ও জনপ্রিয়তায় কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা মুগ্ধ হয়ে ২০১৪ সালে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। গত নয় বছর ধরে দলকে সুসংগঠিত করতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। তৃণমুল কর্মী থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সুখে দুঃখে পাশে থাকায় জনগন আস্থার প্রতিক হিসেবে তাকেই বেছে নিয়েছেন। তৃণমুল নেতাকর্মীরা জননন্দিত নেতা মেয়র মতিয়ার রহমানকে পুনরায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দেয়ার দাবি জানান।
জানাগেছে, ২০১৩ সালে আমতলী একে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। তার সাংগঠনিক দক্ষতায় ও জনপ্রিয়তায় মুগ্ধ হয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা এক বছরের মধ্যেই তাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদদের দায়িত্ব দেন। গত নয় বছরে ধরে তিনি সক্ষমতার সহিদ সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। দলকে করেছেন সুসংগঠিত ও শক্তিশালী। তৃণমুল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের হয়ে উঠেছেন নয়নের মনি। তার সাংগঠনিক কার্যক্রম, দক্ষ ও সুচারু নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুগ্ধ হয়ে আমতলী পৌর মেয়র পদে ২০১১ ও ২০১৯ সালে দলীয় মনোনয়ন দেন। বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় তিনি আমতলী পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়। জনগনের প্রতি তার আস্থা আরো বেড়ে যায়। দলকে সংগঠিত করতে দিনরাত চেষ্টা করে যান। দলের তৃণমুল কর্মীদের দুঃখ মানেই মেয়র মতিয়ার রহমানের দুঃখ। খবর শোনা মাত্রই ছুটে যান তার কাছে। তার সকল সুখে দুঃখের ভাগিদার হন তিনি এমন দাবী মজনু মৃধাসহ শতাধিক নেতাকর্মীর। তার দলের সক্রিয় কার্যক্রমে অল্প দিনের মধ্যেই জনগনের কাছে হয়ে ওঠেন প্রিয় থেকে জনপ্রিয় ও জননন্দিত নেতা। আলোকিত পৌরসভার রুপকার মতিয়ার রহমান মানুষের সুখ দুঃখের স্বারথী ও আস্থার  প্রতিক হিসেবে বনে যান। সকল ক্ষেত্রেই তার পদচারনা। উন্নয়ন মানেই মেয়র মতিয়ার রহমান। তিনি পৌরসভা প্রাঙ্গণে নির্মাণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‌্যাল ও বঙ্গবন্ধু সড়ক। পৌর শহরের উন্নয়নে নিজেকে জয়যাত্রা অব্যাহত রাখেননি হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন উপজেলার সর্বত্র। বিপদে আপনে তৃণমুল নেতাকর্মীরা ছুটে এসেছেন তার কাছে। স্বার্থহীনভাবে সাধ্যমত নেতাকর্মীদের সমস্যা সমাধান করেছেন। গত নয় বছর জীবন বাজি রেখে তিনি দলের হয়ে কাজ করেছেন। তার দ্ব্যার্থহীন কার্যক্রমে আজ আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সুসংগঠিত ও শক্তিশালী। তার এমন শক্তিশালী কার্যক্রম দলের একটি গ্রুপ মেনে নিতে পারেনি। প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে তারা তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং তার এমন কাজকে থমকে দিতে শুরু করে বিভিন্ন পরিকল্পনা এমন দাবী উপজেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সোবাহান লিটনের। ২০২০ সালে তার ভাগ্নে যুবলীগ নেতা মোঃ আবুল কালাম আজাদকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করে। কিন্তু এতেও তিনি থেমে থাকেননি। দুর্বার গতিতে দলকে পরিচালনা করেছেন। গত ২০অক্টোবর আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  রাজনৈতিক কার্যালয়ে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হয়। ওই ঘোষণার পরপরই আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্যতা ফিরে আসে। নয় বছর পরে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উচ্ছাসে ভরপুর নেতাকর্মীরা। এ সম্মেলন বাস্তবায়নে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান জোর প্রস্তুতি নেয়। কেন্দ্রিয় নেতাদের স্বাগত জানাতে সম্মেলন স্থান পৌরসভা চত্¦র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‌্যাল প্রাঙ্গণ বর্নিল সাজে  সাজানো হয়। পদ প্রত্যাশীদের পোষ্টার, ব্যানার ও ফেষ্টুনে ছেয়ে যায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানসহ পৌর শহর। পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ সম্মেলন স্থাণে তোরণ নির্মাণ করা হয়। ৩০ অক্টোবর সুন্দর ও সুচারু ভাবে সম্মেলন স্থান হাজার হাজার নেতাকর্মীদের পদচারনায় মিলন মেলায় পরিনত হয়। কিন্তু সম্মেলন চলার মধ্যখানে উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মোঃ নাজমুল আহসান নান্নু,  জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি অধ্যাপক এসএম শাহাজাহান কবির ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান ও পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা সম্মেলনকে পন্ড করতে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ, সদস্য মোঃ আনিসুর রহমান ও গোলাম রাব্বানী চিনু, বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সাংসদ অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গির কবিরের  সভামঞ্চে এসে দলীয় নেতাকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বলে অভিযোগ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। তাদের এমন কর্মকান্ডে সম্মেলনে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা হতবাগ হয়ে যান। তাৎক্ষনিক  এর প্রতিবাদ করেন পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। কিন্তু তাদের এমন হীন চক্রান্ত বাস্তবায়ন হয়নি দিন ব্যাপী চলে সম্মেলন এমন দাবী তার। দলের এমন সজ্জন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছে এবং সম্মেলন পন্ড করতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনপুর্বক মেয়র মতিয়ার রহমানকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদ দেয়ার দাবী জানান তৃণমুল নেতাকর্মীরা।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আবু জাফর বিশ^াস বলেন, তৃণমুল নেতাকর্মীদের সকল সুখ দুঃখের স্বারর্থী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান। আমরা তাকেই আবারো উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পদ দেয়ার দাবী জানাই।
কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, গত নয় বছরে দলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে একছত্র অবদান মেয়র মতিয়ার রহমানের। যিনি দলের তৃণমুল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সকলের মনো কষ্ট বুঝে পাশে  থেকে কাজ করছেন তাকেই আবারো দলের সাধারণ সম্পাদক পদ দেয়ার দাবী জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, তাকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদ দেয়া হলে আমরা কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে তার সাথে কাজ করে দলকে আরো সুসংগঠিত করবো।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাড. এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, তৃণমুল কর্মী থেকে শুরু করে দলের সকলের কাছে আস্থাভাজন ও নয়নের মনি মেয়র মতিয়ার রহমান। দলকে সঠিক নেতৃত্ব দিতে আমতলীতে তার জুড়ি নেই।
আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, দলমত নির্বিশেষ সকলের প্রিয় মানুষ মেয়র মতিয়ার রহমান। তার কর্মদক্ষতা ও রাজনৈতিক দর্শণে মুগ্ধ হয়ে গত নয় বছরে হাজার হাজার নেতাকর্মী দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করছেন। তিনি আরো বলেন, মেয়র মতিয়ার রহমানের বিকল্প উপজেলা আওয়ামীলীগে কেউ নেই।  দলের হাল ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে তাকেই আবারো উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পদ দেয়ার দাবী জানাই।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৩:২০ ● ১৭০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ