নেছারাবাদে পূর্ব শত্রুতার সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের জখম-৪

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নেছারাবাদে পূর্ব শত্রুতার সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের জখম-৪
মঙ্গলবার ● ১১ অক্টোবর ২০২২


নেছারাবাদে পূর্ব শত্রুতার সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের জখম-৪

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

নেছারাবাদে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ৪ জনকে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষ। প্রতিপক্ষের হামলার দায়ের কোপে জাহারুল ইসলাম (৪৭), মো. জাহিদুল ইসলাম (৪০), মো. জাহারুল (৪৩) ও মো. সাগর (৩৬) নামের ৪ জন গুরুতর জখম হয়েছে। এর মধ্যে আহত জাহারুলের অবস্থা আশংঙ্কা জনক। ঘটনার মূল হোতা হামলার নেতৃত্বদানকারী সোহাগ ঘরামী (৪৫) উল্টো মামলা করতে এসে সহযোগী আকাশ (২২) সহ গ্রেফতার হয়েছেন।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে সাবেক চেয়ারম্যান আকরামুল ইসলাম বাবুলের বাড়ীর সামনের সড়কে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে জাহারুল ইসলামের ভাই জামাল মিয়া বাদী হয়ে ৮ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতারকৃত দু’জনকে পিরোজপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার মৃত জাবেদ মিয়ার ছেলে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক সোহাগের সাথে তার প্রতিবেশি বিভিন্ন পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিসহ নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। ঘটনার দিন দুপুরে সোহাগের প্রতিবেশি সাগর তার দোকানে যাবার জন্য সাবেক চেয়ারম্যান আকরামুল ইসলাম বাবুলের বাড়ির কাছে পৌছিলে সোহাগ ও তার ভাই মাকছুদ সহ অন্তত ১১ জন অটোযোগে এসে সাগরের উপর হামলা চালায়। এতে সাগরের হাত ভেঙ্গে যায়। সাগরকে রক্ষার্থে প্রতিবেশি জাহারুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম সহ অন্যরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও এলোপাথারীভাবে পিটাতে থাকে। এসময় সোহাগ তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে বাদীর ভাই জাহারুল ইসলামের বাম হাতে কোপ দেয়। এছাড়াও হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে জাহিদুল ইসলামের মাথায় ও জাহারুলের হাতে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে আহতদের চিৎকারে আসেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সোহাগ ও তার দলবল হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থান ত্যাগ করে। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহারুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা  দেওয়া হচ্ছে। বাদী জানান,  সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সাথে হয়রানী মুলক কর্মকান্ড করে আসছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধীক মামলা সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এরপূর্বে নিরাপত্তা চেয়ে ওই এলাকার একাধীক ব্যাক্তি সোহাগের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়রীও করেছেন।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সোহাগ নিজে ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো থানায় এসে মামলা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে তাকে থানায় বসিয়ে রেখে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনার রহস্য উৎঘাটনের পর মামলা হলে তাকে সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১১:১৫ ● ২৬৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ