নাসির উদ্দিন বিপ্লব॥
পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের মুকুট বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মোঃ সুলতান আহমেদ মৃধাকে পরাবার দাবি জেলাবাসীর। জনগণের নেতা হিসেবে পরিচিত পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, সাবেক পটুয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মোঃ সুলতান আহমেদ মৃধা। তিনিও আশাবাদী এবার দলের মনোনয়ন পেলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের আরও কাছে যাবার সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে তফসীল ঘোষণা করায় পটুয়াখালী জেলার মানুষ খুশি এবং সেই সাথে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বর্ষিয়ান নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মোঃ সুলতান আহমেদ মৃধা।
এই নেতার রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে পটুয়াখালীর মানুষ কাছে থেকে দীর্ঘ বছর ধরে প্রত্যক্ষ করে আসছিলেন। পটুয়াখালী শহরের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী নতুন বাজারের শওকত হোসেন জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মোঃ সুলতান আহমেদ মৃধা জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দিয়েছেন রাজনীতির মাঠে। সাধারণ মানুষের পাশে থেকে ছুটে চলেছেন একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। তাই তো সাধারণ মানুষের ভালোবাসা নিয়ে সফলতার সাথে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পটুয়াখালী শহরের অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছ, রাজনীতি করতে গিয়ে হারিয়েছেন তার বড় ছেলে মাহমুদুর রহমান পলাশকে, যে শোক এখনো বয়ে বেড়ান এই নেতা এবং তাঁর পরিবার। তারপরও থেমে থাকেনি এই ত্যাগী নেতার পথচলা। সন্তান হারানোর কস্ট বুকে চেপে মিশে গিয়েছেন সাধারণ মানুষের মাঝে। মহামারী করোনাকালে নিরন্তর ছুটে গিয়েছেন গরীব দুঃখী খেটে খাওয়া মানুষের কাছে, বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের অর্থায়নে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজসহ দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী। এমনকি করোনা আক্রান্ত মানুষকে বাঁচাতে পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল, দুমকীসহ বিভিন্ন স্থানে নিজের অর্থায়নে দান করেছেন অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী। এভাবেই বিরামহীন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এই অকুতোভয় সংগ্রামী নেতা। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মোঃ সুলতান আহমেদ মৃধা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলে পটুয়াখালী জেলা পরিষদের মাধ্যমে জেলায় সার্বিক উন্নয়নে সক্ষম হবেন বলে মনে করেন দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ।
এনবি/এমআর
