আমতলীতে বিয়ে ভাঙ্গায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে বিয়ে ভাঙ্গায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা!
শনিবার ● ১৮ জুন ২০২২


আমতলীতে বিয়ে ভাঙ্গায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

মেয়ের পরিবার গবির বলে বিয়ে ভেঙ্গে দেয় প্রেমিক সুজন হাওলাদার ও তার পরিবার। অপমান সইতে না পেরে প্রেমিকা তামান্না আক্তার বিষপান করে। পাঁচদিন মৃত্যুার সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার (১৮ জুন) সকালে মারা গেছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানাগেছে, উপজেলার তারিকাটা গ্রামের মোকলেসুর রহমানের ছেলে আমতলী পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের ফল ব্যবসায়ী সুজন হাওলাদার আমতলী সরকারী কলেজে একাদ্বশ শ্রেনীতে পড়–য়া তামান্নাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত দের বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছে। এমন অভিযোগ মেয়ের পরিবারের। গত এক বছর মাস ধরে তামান্না প্রেমিক সুজনকে বিয়ে করতে চাপ দেয়। কিন্তু  তামান্নার পরিবার গবির বলে সুজনের পরিবার বিয়েতে রাজি হয়নি। গত সোমবার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন দুই পরিবার। কিন্তু বাঁধসাধে প্রেমিক সুজনের খালা মাহফুজা বেগম। মেয়ের বাবা বাচ্চু মোল্লার অভিযোগ ছেলের বাবা মোকলেসুর রহমান ও খালা মাহফুজা বেগম মেয়ের বাড়ী-ঘর দেখতে আসার অযুহাত দেখিয়ে সোমবার বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার অপমান সইতে না পেয়ে তামান্না ওই দিন রাতে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তাৎক্ষনিক তাকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃষ্ণা তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতলে প্রেরন করেছে। ওই হাসপাতালে পাঁচদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ে শনিবার সকালে মারা গেছেন। ঘটনার পরপর প্রেমিক সুজন ও তার পরিবার গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে। তামান্না আমতলী সরকারী কলেজের একাদ্বশ শ্রেনীর ছাত্রী।
তামান্নার বাবা বাচ্চু মোল্লা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, মুই গরিব মানু, হেই লই¹া মোর মাইয়্যাডারে সুজইন্নাা ও হ্যার পরিবার বিয়ে হরাইতে রাজি অয়নি। হেই কষ্টে মোর মাইয়্যা বিষ খাইয়্যা মইর‌্যা গ্য্যাছে। তিনি আরো বলেন, মরার আগে মোর মাইয়্যা ব্যক কইয়্যা গ্যাছে। সুজইন্না বিয়া হরার কতা কইয়্যা মোর মাইয়্যারে গত দের বছর ধইর‌্যা ধরষোন হরছে। মুই এ্যাইয়্যার বিচার চাই।
অভিযুক্ত প্রেমিক সুজনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত সুজনের খালা মাহফুজা বেগম বলেন, সুজনের মা নেই, ওকে আমি লালন পালন করে বড় করেছি।  মেয়ের পরিবার পছন্দ হয়নি তাই বিয়ে হয়নি।
হলদিয়া ইউপি সদস্য মোঃ সাইদুল ইসলাম স্বপন বলেন, মেয়ের পরিবার গরিব বলে বিয়ে ভেঙ্গে দেয় ছেলের পরিবার। এ অপমান সইতে না পেরে মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫২:৩৬ ● ৩৪৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ