নাজিরপুর(পিরোজপুর)সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের নাজিরপুরে মোবাইল ফোন চুরি নিয়ে সংঘর্ষে দু’পক্ষের চার নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বুইচাকাঠী গ্রামে। হামলায় আহতরা হলেন মোবাইল মালিক স্কুল ছাত্রী স্বপ্না আক্তার (১৫), তার মামা রবিউল ইসলাম হাওলাদার (৩৫), মা সাগরিকা বেগম (৪৫), ভাই জুয়েল (১৮), মামী শাহানা বেগম (৩২)। অন্য পক্ষের আলমগীর হোসেন মাঝি (২৮) ও তার বোন শেফালী বেগম (৪০)। আহতরা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মোবাইল ফোনের মালিক স্বপ্না খানমের বাড়ি উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে। সে বুইচাকাঠীতে তার মামার বাড়িতে থেকে স্থানীয় বাবুরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আলমগীর হোসেন মাঝি জানান, তাদের বাড়ির উপরের আত্মীয় স্বপ্না আক্তরের একটি স্মার্ট ফোন গত ৩দিন আগে ঘর থেকে হারানো যায়। ফোনটি নিয়ে বিভিন্ন সময় তার (আলমগীর) বোন শেফালী বেগম সহ মেয়েকে ওই ফোন চুরির অপবাদ দেয়। ওই রাতে এ নিয়ে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে স্বপ্নার মামা জিয়ারুলের নেতৃত্বে ৫-৬ জনে মিলে আমাদের উপর হামলা করে। ফোনটির মালিক স্কুল ছাত্রী স্বপ্না খানম জানায়, তার মামার ঘর থেকে ৩ দিন আগে সকালে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি চুরি হয়ে যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফকিরের কাছে গননা করাতে গেলে সে সব স্থান থেকে ফোনটি চুরির বিষয় আলমগীর মাঝির পরিবারে সদস্যদের নাম উঠে আসে। এ বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাই নি। পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএএইচ/এমআর