গলাচিপায় ঘাটেই নষ্ট হচ্ছে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » গলাচিপায় ঘাটেই নষ্ট হচ্ছে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স!
রবিবার ● ২ জানুয়ারী ২০২২


গলাচিপায় ঘাটেই নষ্ট হচ্ছে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স!

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরাঞ্চলে জরুরি ও গর্ভবতী মায়েদের পরিবহন কাজে ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেটি অযতœ-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘ দেড় বছরেও এই নৌ-অ্যাম্বুলেন্স চরাঞ্চলের কোনো জরুরি রোগী পরিবহন করতে পারেনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দেওয়া হলেও চরাঞ্চলের মানুষ জানে না তাদের জরুরি সেবার জন্য নৌ-অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। তবে প্রমোদভ্রমণের জন্য মাঝেমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা গলাচিপা উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও গর্ভবতী মায়েদের সেবার ব্যবস্থার জন্য একটি আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহারস্বরূপ গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত একটি অত্যাধুনিক নৌ-অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। তবে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার দেড় বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো চরাঞ্চলের রোগীকে পরিবহন করতে পারেনি এটি। চরকাজল ইউনিয়নের আবু নাইম বলেন, ‘আমাদের জানা নেই জরুরি সেবার জন্য গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি যদি চলমান থাকত, তাহলে চরকাজল ও চরবিশ্বাসের মানুষের জন্য অনেক উপকার হতো। দ্বীপের মানুষ কম খরচে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে পারত।
চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসাইন বাবুল বলেন, ‘একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স ছিল চরাঞ্চলের জন্য। জরুরি ও গর্ভবতী মায়েদের পরিবহনের জন্য এখন আছে কি না, তা আমার জানা নেই। তবে শুনেছি তেল খরচ বেশি বলে চরাঞ্চলের মানুষ নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্য নিচ্ছে না।’ গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি পাওয়ার পর চরাঞ্চলের মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিনের ডায়নামো নষ্ট হওয়ার কারণে এটি ঘাটে পড়ে আছে।’ প্রমোদ ভ্রমণের কথা অস্বীকার করে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার কাজে নদী পাড়ি দিয়ে চরাঞ্চলে দু-একবার নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করা হয়েছিল।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার বলেন, ‘চরকাজল ও চরবিশ্বাস দুটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। আমি গলাচিপায় আসার আগে থেকেই নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি পড়ে আছে। অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এখানে নদী প্রায় উত্তাল থাকে, তখন নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন হয়। এটি সংস্কার করার বিষয়ে আমি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

এসডি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ০:১৪:৩৩ ● ৫০৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ