বাবুগঞ্জে সুগন্ধার ভাঙনে হুমকির মুখে বিমানবন্দর রানওয়ে

প্রথম পাতা » বরিশাল » বাবুগঞ্জে সুগন্ধার ভাঙনে হুমকির মুখে বিমানবন্দর রানওয়ে
রবিবার ● ২৪ অক্টোবর ২০২১


বাবুগঞ্জে সুগন্ধার ভাঙনে হুমকির মুখে বিমানবন্দর রানওয়ে

বাবুগঞ্জ(বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বাবুগঞ্জে সুগন্ধা নদীর আকস্মিক ভাঙনে দিশেহাড়া হয়ে পড়েছে ক্ষুদ্রকাঠীবাসী। বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামে দীর্ঘ ৫ ঘন্টার ভাঙনে ৫টি বসত ভিটা, একটি মসজিদ ও ঐতিহ্যবাহী একটি ঈদগাহ ময়দান সুগন্ধা নদীর ভাঙন কবলে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে প্রায় ২শত গজ দূরে থাকা বরিশাল বিমানবন্দর রানওয়ে এবং অন্তত ৫০টির অধিক বাড়ি-ঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
রবিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সুগন্ধার তীব্র ভাঙনে উল্লেখিত ক্ষতি সাধিত হয়। এখনও ভাঙন অব্যাহত থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পরেছে পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের সুগন্ধা তীরের অসহায় পরিবারগুলো। সরেজমিনে দেখাযায়, স্থানীয়দের সহায়তায় নদী পাড়ের ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে ও গাছ-পালা কেটে অনত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বসতবাড়ি রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে গ্রামের হাজারো মানুষ। ভাঙনের তীব্রতা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগ্রাসী সুগন্ধার ভাঙন এগিয়ে আসছে বিমানবন্দর’র রানওয়ের সীমানার দিকে। মানুষ দিক-বিদিক ছুেটাছুটি করছে। হুমকিরমূখে পরা ঘরবাড়ি এবং মসজিদের আসবাবপত্র অনত্র সরিয়ে নিয়ে হচ্ছে। খবর পেয়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আমীনুল ইসলাম। তিনি তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসনকে ভাঙন পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থার কথা জানান এবং স্থানীয়দের অভয় দিয়ে বলেন, নদী ভাঙন রোধে আমরা জরুরী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট  উর্দ্ধতনদের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবো এবং ক্ষতিগ্রস্থদের সকল ধরনের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য প্রাথমিক ভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোলাম হোসেন, সাধারন সম্পাদক মো. শাহিন হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বাবুগঞ্জ সাধারন সম্পাদক মো. শাহিন হোসেন বলেন, দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে বরিশাল বিমানবন্দর রানওয়ের উত্তর প্রান্তসহ পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামটি অচিরেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এখানে জরুরী ভিত্তিতে নদী শাসনের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধে  ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। ভাঙণে ঘর-বাড়ি ও জমি হারিয়ে নিঃস্ব প্রায় ওই গ্রামের ইদ্রিস বেপারি, সিদ্দিক বেপারি, ওমর আলী, খলিল হাওলাদার, বজলু হাওলাদার । এছাড়া পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠী জামে মসজিদ ও ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ময়দান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।


এএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪২:১৩ ● ২৩১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ