বাউফলে অপরাধ আড়াল করতেই রাজীব’র ছদ্মবেশ

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » বাউফলে অপরাধ আড়াল করতেই রাজীব’র ছদ্মবেশ
বৃহস্পতিবার ● ২৭ আগস্ট ২০২০


বাউফলে অপরাধ আড়াল করতেই ছদ্মবেশে থাকতো রাজীব

বাউফল (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর বাউফলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী শাওন খন্দকারের(২৫) হত্যাকারী রাজীব রাজ(২৭) একজন পেশাদার খুনি। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতেই মানসিক ভারসম্যহীনতার অভিনয় করতো রাজীব। শাওনের হত্যাকরী রাজীব সম্পর্কে এমনই দাবী স্থানীয়দের।
ঢাকার ইস্কাটনে মা মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় অন্যতম আসামী ছিলো এই খুনী রাজীব। ওই ঘটনায় মানসিক ভারসম্যহীনতার সনদ দিয়ে জামিনে মুক্তি পায় সে। কয়েক বছর আগে বরিশালে এক সাংবাদিককে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়ের ঘটনাতেও গ্রেফতার হয় রাজীব। খুনী রাজীবকে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতা আশ্রয় প্রশ্রয় দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রাজীবের অর্থ জোগান দাতাদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম রাজা। নিহত শাওনের পরিবারের সদস্যদের দাবী, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম রাজার সাথে শাওনের বিরোধ থাকায় তিনি রাজীবকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে শাওনকে খুন করেন। সেলিম রাজা এক সময় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি আওয়ামীলীগ নেতা বনে যান তিনি। এলাকায় নিজের প্রভাব বিস্তার করার জন্যই রাজীবকে কৌশলে ব্যবহার করতেন এই আওয়ামীলীগ নেতা।
বিগত দুই বছর ধরে এলাকায় পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে বসবাস করতো রাজীব। রহস্যময় জীবন যাপন ছিলো তাঁর। দৃশ্যমান কোনো উপার্জন না থাকলেও নিজের ভোগ বিলাসের জন্য বেশ টাকা পয়শা খরচ করতো রাজীব। এলাকায় বসবাস করলেও মাঝে মধ্যেই কিছু দিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়ে যেতো সে। স্থানীয়দের ধারনা গোপন মিশন শেষ করে আবার এলাকায় ফিরে আসতো রাজীব।
নিহত শাওনের পরিবারের সদস্যদের দাবী, ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাজীবের অপরাধ জগত সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর আরো তথ্য পাওয়া যেতো।
উল্লেখ্য গত সোমবার সকালে ফিল্মী স্টাইলে চাকু দিয়ে কুপিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাওন খন্দকারকে খুন করে রাজীব।
এদিকে শাওনের হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র নিয়েও রয়েছে মতবিরোধ। কাচের টুকরা দিয়ে আঘাত করার কথা বললেও স্থানীয়রা বলছেন সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে খুন করা হয় শাওনকে। মাত্র ২মিনিটের মিশনেই শাওনকে হত্যা করতে সক্ষম হয় রাজীব। শাওন বাউফল উপজলা সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস গ্রামের  জাকির হোসেনের ছেলে। সে টুঙ্গি সরকারি কলেজে মাস্টার্স শেষ পর্বের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ঘাতক রাজীবকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা রাজীবের অপরাধ জগতের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।

এসএস/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৩:৫১ ● ৮৫০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ