পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ খুঁটা জেলেরা আবার ইলিশ শিকারে নামছে সাগরে

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ খুঁটা জেলেরা আবার ইলিশ শিকারে নামছে সাগরে
বুধবার ● ২৬ আগস্ট ২০২০


বক্তব্য রাখছেন পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ বিল্লাল হোসাইন

কুয়াকাটা সাগরকন্যা অফিস॥
পটুয়াখালী জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশেষে কুয়াকাটায় সমুদ্রগামী খুঁটা জেলেদের সমস্যার সমাধান হলো। প্রভাবশালীদের দখলে সমুদ্র, মাছ ধরতে পারছেনা জেলেরা- এমন সংবাদ সাগরকন্যায় প্রকাশের পর পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের নজরে আসে। জেলেদের এ সমস্যা সমাধানে ২৬ আগস্ট (বুধবার) রাত সাড়ে ৮টায় পর্যটন করপোরেশনের যুবপান্থ নিবাসে দুই শতাধিক জেলেদের নিয়ে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জেলে এবং অভিযুক্তদের নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়। মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলী আহম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা, পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ বিল্লাল হোসাইন ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত জেলেদের সমুদ্রে মাছ ধরা নিয়ে কতিপয় প্রভাবশালী জেলেদের চাঁদাবাজির বিষয়টি উঠে এলেও এসব দাবি অভিযঙুক্তরা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, সমুদ্রে খুঁটা বসানোর সময় ইঞ্জিণ চালিত নৌকা নিয়ে যেতে খরচ হিসেবে ওইসব টাকা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জলসীমানার জটিলতা ও চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে উপস্থিত পক্ষদ্বয় আলোচনায় অংশগ্রহন করেছেন। এদের মধ্যে কুয়াকাটা আশার আলো জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ নিজাম শেখ ও তাদের অধীনে পরিচালিত ৫নং জেলে ইউনিট কমিটির সভাপতি আব্দুর রব এবং ক্ষতিগ্রস্ত জেলে মিলন মাঝি, সিদ্দিক মাঝি, মন্নাফ মাঝি প্রমুখ কথা বলেন। আলোচনায় পুলিশ কর্মকর্তারা আন্তরিকতার সাথে জেলেদের সমস্যাগুলো শোনেন। পরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের নির্দেশে আসা পুলিশ কর্মকর্তারা জেলেদের এ সমস্যা সমাধানে জেলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দেন। আগামী ১লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সাগরে মাছ শিকারে যেতে না পারা খুঁটা জেলেদের সমুদ্রে নির্বিঘœ ইলিশ শিকারের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন জেলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমস্যা নিয়ে কথা বলছেন জনৈক খুঁটা জেলে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলী আহম্মেদ বলেন, উম্মুক্ত সমুদ্রে সকল জেলেদের মাছ ধরার অধিকার রয়েছে। সমুদ্রে কেউ মাছ ধরবে আর কেউ ধরবে না- এমনটা হতে পারবে না। সকল জেলেরা সমান জায়গা নিয়ে মাছ শিকার করবে। সমুদ্রে কোন দস্যুতা, চাঁদাবাজি, মাস্তানী ও দলীয় প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই। যাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ বিল্লাল হোসাইন বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সমুদ্রে জলদস্যুতা দমন, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে। জেলেরা নির্বিঘেœ মাছ শিকার করতে পারছে। সমুদ্রে ইলিশের জাল পেতে রাখা হলেও কেউ কারও জাল এখন আর চুরি করে নিয়ে যায়না। বর্তমান সরকার জেলে বান্ধব সরকার। ইলিশ প্রজনন মৌসুম ও ঝাটকা সংরক্ষণকালে জেলেদের প্রনোদণা দেয়া হচ্ছে। জেলেদের যেকোন সমস্যায় পুলিশ পাশে থাকবে। এসময় অন্যান্য বক্তারা কুয়াকাটার খুঁটা জেলেদের সমস্যা সমাধানে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৫:৪৪ ● ৫৬৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ