কুয়াকাটায় আয়রণ সেতুটি এখন মরণ ফাঁদ!

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কুয়াকাটায় আয়রণ সেতুটি এখন মরণ ফাঁদ!
রবিবার ● ২৮ জুন ২০২০


কুয়াকাটায় আয়রণ সেতুটি এখন মরণ ফাঁদ!

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পযর্টন কেন্দ্র কুয়াকাটার লতাচাপলি ইউনিয়নের কুয়াকাটা খালের ওপর নির্মিত আয়রন সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে ৭ গ্রামের ৮ হাজার মানুষসহ ২ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,শিক্ষার্থী,  জরুরি চিকিৎসা ও ক্ষেতের উৎপাদিত ফসল নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার সাধারন জনগন। যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনার হতে পারে।
সরেজমিন দেখা যায়, কুয়াকাটা খালের ওপর নির্মিত আয়রণ সেতুটি তৈরি করেছেন মুলত খাজুড়া আবাসনের ৮০ পরিবার ও ফাশিপাড়া, নয়াপাড়া, মোথাউপাড়া, মেলাপাড়া, শরীফপুর ও বাহামকান্দা গ্রামের প্রায় ৮হাজার লোকের যাতায়তের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে এ সেতুটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিদিন আয়রণ সেতুটি দিয়ে ওই গ্রামের এক হাজার লোক মহিপুর ও কুয়াকাটা সহ উপজেলা সদরে যাতায়ত করে থাকেন। বিগত প্রায় ৫ বছর আগে সেতুটি খারাপ অবস্থায় পরিণত হয় যা ধীরে ধীরে এখন পুরোপুরি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। খালে লোনা পানি আসা-যাওয়ায় লোহার ভিমে মরিচা পড়ার কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেতুটি দুর্বল হয়ে পরেছে বলে জানা যায়। আশ্রয়কেন্দ্রের পাশেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা রয়েছে। আয়রণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার কয়েকশ ছাত্র-ছাত্রী যাতায়ত করে খুব ঝুঁকি নিয়ে । নভেল করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয় চালু হলে ছেলে-মেয়েরা কিভাবে আয়রণ সেতুটি দিয়ে যাতায়ত করবে তা নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার শেষ নেই। অভিভাবকদের মতে, আমরা বড় মানুষরাই যেখানে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হই সেখানে বাচ্চারা কিভাবে এ সেতুটি দিয়ে যাতায়ত করবে তা বুঝতে পারছি না। তাদের মতে, খুব শিঘ্রই আয়রণ সেতুটি সংষ্কারের কাজ না হলে যে কোন সময়ে এখানে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
খাজুরা আবাসনের সভাপতি আছিয়া বেগম ও সাধারণ সম্পাদক সুধির চন্দ্র মিস্ত্রী জানান,আয়রণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক যাতায়ত করে। বর্তমানে সেতুটি যে অবস্থা হয়েছে তাতে যাতায়ত করাই এখন মুশকিল হয়ে পড়েছে। সেতুটি  দ্রুত সংষ্কার হলে আমরা একটি বড় ধরণের দুশ্চিন্তা হতে বেঁচে যেতাম।
এবিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, কুয়াকাটা খালের ওপর আয়রণ সেতুটি সহ আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সেতু অত্যান্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ নতুন ব্রীজের বরাদ্দ আসতে পারে বলে তিনি আশা করেণ। তবে, ব্রীজের নতুন বরাদ্দ আসার আগ পর্যন্ত মানুষের চলাচলের জন্য বর্তমান সেতুর অদুরে একটি মজবুত সাঁকো করে দিবেন বলেও তিনি জানান।

এসকেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১২:০০:৩৬ ● ৪১৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ