![---](https://www.sagorkonnya.com/cloud/archives/2019/11/bauphal-09-11-2019-_pic_09.jpg)
অতুল পাল, বাউফল থেকে॥
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় বাউফল উপজেলা প্রশসান ও উপজেলা পরিষদ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। বর্তমানে বাউফল উপজেলা ১০ নং মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে। আজ শনিবার সন্ধা থেকে মধ্য রাতে ঘূর্ণিঝড়টি বাউফল উপজেলা অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে বলে উপজেলা প্রশসান জানিয়েছেন। বুলবুলের প্রভাবে শুক্রবার থেকে গুঁরি গুঁরি বৃষ্টি শুরু হলেও শনিবার দুপুর ২ টার পর থেকে বাউফলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিকে ১০ নং মহা বিপদ সংকেত দেয়ায় আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে বাউফলের মানুষ।
ইতিমধ্যেই বুলবুল মোকাবেলায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিজুস চন্দ্র দে’র সভাপতিত্বে কয়েক দফা মিটিং হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ১৪০টি আশ্রয় কেন্দ্রকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টীম। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বত্র মাইকিং করে জণসাধারনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। গ্রাম পুলিশ সদস্যরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে জণসাধারনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বরগণ স্ব-স্ব এলাকায় সর্বদা খোঁজ খবর নিচ্ছেন। পৌর সভার মেয়রের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সকল তথ্য জানতে এবং জানাতে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উপজেলা চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, বগা এবং কাছিপাড়া ইউনিয়ন অধিকতর বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওই সকল ইউনিয়নে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে কোন বেড়িবাঁধ না থাকায় ইউনিয়নটি সর্বাধিক ঝুঁকিতে রয়েছে।
কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা, নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক, কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু, ধুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আ. রব এবং চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের সাথে তারাও সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিজুস চন্দ্র দে জানান, ঘূর্ণিঝড় বুরবুল মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।১৪০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তু রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৫টি মেডিকেল টীম গঠন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়োত্তর উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য ষ্পীডবোট, ট্রলার, নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরিমাণ শুকনো খবার সংরক্ষণ করার জন্য চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উদ্ধার কাজে সহায়তার জন গ্রাম পুলিশ, স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে বলে রাখা হয়েছে।