বানারীপাড়ায় আটকে দেয়া ১১ মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অন্যত্র ভর্তির সুযোগ

হোম পেজ » বরিশাল » বানারীপাড়ায় আটকে দেয়া ১১ মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অন্যত্র ভর্তির সুযোগ
বুধবার ● ২২ মে ২০১৯


বানারীপাড়ায় আটকে দেয়া ১১ মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অন্যত্র ভর্তির সুযোগ

বানারীপাড়া (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বানারীপাড়ায় মাদরাসা শিক্ষকরা দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মার্কসিট আটকে রেখে গোপনে নিজ প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে ভর্তির আবেদন করার পর উপজেলা প্রশাসনের চাপে পরে ১টি মাদরাসার ১১ জন শিক্ষার্থীকে অন্যত্র ভর্তি হওয়ার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বানারীপাড়া উপজেলার আহম্মদাবাদ হোসাইনিয়া আলিম মাদরাসা সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের মার্কসিট আটকে রেখে গোপনে অনলাইনে অন্যের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে আলিম শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন করেন। এ কারণে ওই শিক্ষার্থীরা অনলাইনে তাদের পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন করতে পারেনি। পরে তারা কোন উপায় অন্ত না পেয়ে সোমবার এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দৃুল্লাহ্ সাদীদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
বুধবার (২২ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার উদ্যোগ নিলে উপজেলার আহম্মদাবাদ হোসাইনিয়া আলিম মাদরাসার মো. আজিজুল হক (রোল ২৩৭৫১০), মো. রিফাত মৃধা (রোল ২৩৭৫১৬), মো. বায়েজিদ (রোল ২৩৭৫১১) ও মো. রনি (২৩৭৫১২) সহ ১১ শিক্ষার্থীর মার্কসিট ও অনলাইনে আবেদন করার গোপন নাম্বার দিয়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হালিম খান বলেন, দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া তার মাদরাসার ২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে বুধবার ১১ জনকে অন্যত্র ভর্তি হওয়ার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও উপজেলার অপর ৩টি ফাজিল ও ৬টি আলিম মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধরে রাখার জন্য শিক্ষকরা দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর ও অন্যের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের অজানতে গোপনে অনলাইনে অলিম শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন করেন। এ কারণে ওই শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন করতে পারেনি। ফলে শিক্ষর্থীদের ভর্তি হওয়ার জন্য মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন ব্যহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন, দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের মার্কসিট ও অনলাইনে আবেদন কারা গেপান নম্বর দিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নির্দশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নির্বাহী কর্মকর্তা জানান।

জিএমআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৮:০৯ ● ৩৮০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ