সোমবার ● ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
বরগুনায় কারারক্ষীদের পাখি শিকার ঘিরে বিতর্ক
হোম পেজ » বরগুনা » বরগুনায় কারারক্ষীদের পাখি শিকার ঘিরে বিতর্ক

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, বরগুনা
বরগুনায় জেলা কারাগারে কর্মরত দুই কারারক্ষী এয়ারগান দিয়ে এক ব্যাগ পাখি শিকার করলেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বরগুনা পৌর শহর ও আশপাশের এলাকায় মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে তারা পাখি শিকার করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
পাখি শিকারের সময় বেলা ১১টার দিকে বরগুনা পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি সড়কে তাদের ডাহুক শিকার করার দৃশ্য ‘সময় টেলিভিশন’র প্রতিবেদক ও ভিডিও জার্নালিস্টের নজরে আসে। এসময় তাদের প্রতিবাদের মুখে দ্রুত মোটরসাইকেলে উঠে সটকে পড়েন ওই দুই পাখি শিকারী।
শিকারীদের মধ্যে ছিলেন মোঃ হাফিজুর রহমান (কারারক্ষী) এবং মোঃ রফিকুল ইসলাম (সহকারী প্রধান কারারক্ষী)। এর আগেও মোঃ রফিকুল ইসলাম একই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন এবং পাখি শিকার না করার অঙ্গীকার করেছিলেন বলেও শোনা যায়।
সময় টেলিভিশনের বরগুনা প্রতিনিধি মোঃ সাইফুল ইসলাম মিরাজ বলেন, সকালে আঃ কাদের সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলাম। দুইজনকে এয়ারগান দিয়ে ডাহুক শিকার করতে দেখি। আমরা প্রতিবাদ জানালে তারা দ্রুত মোটরসাইকেলে চড়ে পাখিসহ চলে যান। তাদের মোটরসাইকেলে বাঁধা ব্যাগে অন্তত ২৫টি পাখি ছিল।
এ বিষয়ে একুশে টেলিভিশনের বরগুনা প্রতিনিধি জয়দেব রায় বলেন, সহকারী প্রধান কারারক্ষী মোঃ রফিকুল ইসলাম আগেও পাখি শিকার বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন। এবার তার অঙ্গীকার ভঙ্গ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
পরিবেশকর্মী মুশফিক আরিফ মন্তব্য করেন, এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন। অভিযুক্তদের চাকরি থেকে বরখাস্তসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সহকারী প্রধান কারারক্ষী মোঃ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কারারক্ষী মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগতির পর রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে এবং এয়ারগান জব্দ করা হয়েছে।
বরগুনা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আখতারুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৭:০২ ● ৯১ বার পঠিত
