সাগরকন্যা প্রতিবেদক, দুমকি (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের সন্তোষদি এলাকায় পাউবো’র খাল খনন কাজে অনিয়ম, সড়ক ভাঙন ও গাছ ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন ও এলজিডি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সন্তোষদি স্লুইজগেট থেকে হাবিব মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার পাংসি ঘাট সংযোগ খাল খনন কাজ চলছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায়। কাজটি যৌথভাবে করছে মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ ও সোহাগ এন্টারপ্রাইজ। তাদের নিযুক্ত সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ পরিচালনা করছেন পটুয়াখালী শহরের মো. সোহরাব হোসেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খাল খননের আগে নিয়ম অনুযায়ী দু’পাড়ে প্রোফাইল নির্ধারণ, গাছপালা অপসারণে নোটিশ প্রদান এবং কাজ চলাকালে পাউবো’র ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও এসব মানা হয়নি। কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই খালের পশ্চিম পাড়ের শতাধিক গাছ ভেকু দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়। পাশাপাশি পূর্ব পাড়ের পাকা কংক্রিট সড়কের স্লোপ কেটে নেওয়ায় রাস্তার একটি অংশ ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে এলাকাবাসীর চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সন্তোষদি গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অনিয়মের প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার পক্ষ থেকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তিনি দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও পরিবেশ সংস্কারের দাবি জানান।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাব-ঠিকাদার মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযোগকারীদের অনেকেই অবৈধভাবে খাল দখল করে রেখেছে। পাউবো’র নির্ধারিত সীমানার মধ্যেই খনন করা হয়েছে। তবে সড়ক ভাঙনের বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে, সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ফরিদা সুলতানা বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে এলজিইডি প্রকৌশলীকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাউবো‘র নির্বাহি প্রকৌশলী মো: রাকিব হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষেেয় তিনি অবগত নন। তবে খাল খননে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে এবং স্লোপ বিহীন রাস্তা সংলগ্ন খাল কাটায় ক্ষতি হয়ে থাকলে অবশ্যই বিষয়টি আমি দেখব।
এমআর
