রবিবার ● ৯ নভেম্বর ২০২৫

গৌরনদীতে মাছ চাষে মুরগীর বিষ্ঠা: হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

হোম পেজ » ফিচার » গৌরনদীতে মাছ চাষে মুরগীর বিষ্ঠা: হুমকিতে জনস্বাস্থ্য
রবিবার ● ৯ নভেম্বর ২০২৫


 

গৌরনদীতে মাছ চাষে মুরগীর বিষ্ঠা: হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, গৌরনদী (বরিশাল) থেকে মোঃ মেহেদী হাসান

বরিশালের গৌরনদীতে অধিকাংশ মৎস্য চাষী সরকারি বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে সরাসরি মুরগীর বিষ্ঠা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এতে মানবদেহে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা রয়েছে।

মৎস্য খাদ্যের দাম বাড়ার খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে তারা বিষ্ঠা প্রক্রিয়াজাত না করে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় মৎস্য চাষী মোঃ মতিউর রহমান হাওলাদার ও রাজ্জাক কবিরাজের জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ তাদেরকে সচেতন না করায় মৎস্য চাষে হাঁস-মুরগীর বিষ্ঠা মাছের খাদ্য হিসেবে তারা ব্যবহার করে আসছেন। তাদের ভাষ্যমতে, গৌরনদী উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে এ বিষয়ে কোনো পরামর্শ নেই।

স্থানীয় ভোক্তা আহম্মেদ জামান সাগরকন্যাকে বলেন, আমরা বাজার থেকে যেসব মাছ কিনে খাই, তার বেশিরভাগ পুকুর-ঘেরের উপরই নির্মিত ঘরে মুরগী পালন করা হয়। এসব ব্রয়লার মুরগীর পরিত্যাগ করা বিষাক্ত বিষ্ঠাই এখন মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

গৌরনদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ দেবনাথ বলেন, মুরগীর বিষ্ঠা মাছের খামারে ব্যবহার করলে এবং এখানকার মাছ মানুষ খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকতে পারে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ সরকার বলেন, মাছ চাষে মুরগীর বিষ্ঠার ব্যবহার সম্পূর্ণ অবৈধ। খামারীদের প্রথমে সতর্ক করা হবে, না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া মুরগীর বিষ্ঠা দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরির উৎসাহও দেওয়া হবে।

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহতা জারাব সালেহীন বলেন, মুরগীর খাবারে এন্টিবায়োটিক ও কেমিক্যাল থাকে। ফলে ত্যাগকরা মল মাছের শরীরে প্রবেশ করলে সহজে ধ্বংস হয় না। পরবর্তীতে মানুষের দেহে প্রবেশ করলে ক্যান্সারসহ নানাবিধ রোগের ভয় থাকে। এ বিষয়ে নজরদারির প্রয়োজন।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. ইব্রাহীম বলেন, মাছ চাষে মুরগীর বিষ্ঠার কোনো সুযোগ নেই। খামারীদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবহার বন্ধ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৮:০৫ ● ৩০ বার পঠিত