বৃহস্পতিবার ● ২ অক্টোবর ২০২৫

পবিপ্রবিতে জিয়া গবেষণা পরিষদের কমিটি, সদস্য সচিব না পেয়ে ড. সাইফুলের পদত্যাগ

হোম পেজ » পটুয়াখালী » পবিপ্রবিতে জিয়া গবেষণা পরিষদের কমিটি, সদস্য সচিব না পেয়ে ড. সাইফুলের পদত্যাগ
বৃহস্পতিবার ● ২ অক্টোবর ২০২৫


 

পটুয়াখালী ভার্সিটির,  জিয়া গবেষণা পরিষদের নতুন কমিটি গঠন : সদস্য সচিব পদ না পেয়ে ড. সাইফুল ইসলামের পদত্যাগ

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, দুমকি (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) শাখায় সদ্য ঘোষিত শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য সচিব পদ না পাওয়ায় যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ড. সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এই সংগঠনের সদস্য সচিব হওয়ার জন্য তদবির করে আসছিলেন। তবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দলীয় নেতাদের মতামত যাচাইয়ের পর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি গত ৩১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। নতুন কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে বর্তমান রেজিস্ট্রার ও শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় মুখ প্রফেসর ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিনকে। তিনি ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইউট্যাব) পবিপ্রবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সাবেক ডিন ও জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের শিক্ষক প্রফেসর বদিউজ্জামানকে। কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, কমিটির সব সদস্যই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ত্যাগী কর্মী।

জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৭ সালের ১৫ আগস্ট মিন্টো রোডে তাঁর বাসভবনে শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংগঠনটি জিয়াউর রহমান ও তাঁর পরিবারের রাজনৈতিক-সামাজিক অবদান নিয়ে গবেষণা, সেমিনার ও প্রকাশনার কাজ করে আসছে। এছাড়া খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার প্রতিবাদে সংগঠনটি রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।

কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের পদত্যাগকে ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি যেন সংগঠন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকেন। সংগঠনটির মতে, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে মেধা, যোগ্যতা, একাডেমিক ক্যারিয়ার, সমাজে গ্রহণযোগ্যতা এবং সংগঠনের প্রতি অবদানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, পদত্যাগকারী ড. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গবেষণা প্রবন্ধে চৌর্যবৃত্তির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তার বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. মো. আসাদুল হক এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন, যা তিনি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫০:১৪ ● ১৩৫ বার পঠিত