
বৃহস্পতিবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনার ধান চাষে কৃষকের মুখে হাসি
হোম পেজ » রাজশাহী » চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনার ধান চাষে কৃষকের মুখে হাসিসাগরকন্যা প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিনা) উদ্ভাবিত ধানের জাত দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কৃষকদের দাবি, এসব ধান কম সময়ে বেশি ফলন দেয়, রোগবালাই কম ধরে এবং খরার মধ্যেও টিকে থাকে। এতে উৎপাদন খরচ কমছে, আয় বাড়ছে এবং খাদ্য উৎপাদনে আসছে ইতিবাচক পরিবর্তন।
জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলে আগে খরার কারণে কৃষকরা লোকসানে পড়তেন। কিন্তু বিনা-১৯ ও ২১ জাতের ধান লাগানোয় ঝুঁকি কমেছে। গোমস্তাপুরের কৃষক আবদুল করিম জানান, আগে মৌসুম শেষে লোকসান গুনতে হতো। এখন বিনার ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছি। ফসল ভালো হচ্ছে, দামও পাচ্ছি।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, চলতি বছর বিঘাপ্রতি ২০-২৫ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে। এতে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে।
নাচোল উপজেলার কৃষক আব্দুল জাব্বার জানান, বিনাধান-২৫ ও ২৬ কম সময়ে ফলন দেয় এবং রোগবালাই প্রতিরোধে সক্ষম। তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে এসব ধান চাষ করে ১২০ মণ ধান পেয়েছেন। কৃষক মো. কাজল বলেন, খরার মধ্যে অন্য ধান নষ্ট হলেও বিনার ধান টিকে থাকে। এতে পরিবারের স্বচ্ছলতা বেড়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জেলায় বিনার ধানের আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় যা অন্তত ৫০০ হেক্টর বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির সংকট মোকাবেলায় বিনার ধান উপযোগী। কম পানিতে বেশি ফলন পাওয়া যায়। এতে খাদ্য উৎপাদন টেকসই হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিনা) চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিসের প্রধান নির্বাহী কৃষিবিদ ড. আজাদুল হক (আজাদ) জানান, বিনার উদ্ভাবিত নতুন ধান খরচ বাঁচায়, মাটির উর্বরতা বজায় রাখে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর। এতে টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৩:৫৫ ● ৮১ বার পঠিত