
বুধবার ● ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মহিপুরে ভুয়া চিকিৎসার অভিযোগ, তদন্ত দাবি
হোম পেজ » পটুয়াখালী » মহিপুরে ভুয়া চিকিৎসার অভিযোগ, তদন্ত দাবিসাগরকন্যা প্রতিবেদক, মহিপুর (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর মহিপুরে এশিয়া ডেন্টালে অনিয়মিত চিকিৎসা কার্যক্রমের অভিযোগ উঠেছে। ডাক্তার না হয়েও নামের আগে ডাক্তার লিখে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন হারুন-অর-রশীদ নামে এক কথিত দন্ত চিকিৎসক। তিনশ থেকে পাঁচশ টাকা ভিজিট নিয়েও সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে রোগীদের মধ্যে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, তিনি দাঁতের চিকিৎসক হলেও ভাই ডাঃ আব্দুল হাকিমের প্রেসক্রিপশনের নাম ব্যবহার করে রোগীদের চোখের চিকিৎসা দিচ্ছেন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) আদনান নামে চার বছরের এক শিশুকে চিকিৎসা নিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন পরিবার। হারুন নিজেই স্বীকার করেন, ভাইয়ের কাছে রোগীর ছবি পাঠিয়ে তার লেখা ওষুধ নিজের হাতে প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন।
এ নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মহিপুরের শাহ-জাহান কাজী বলেন, হারুন দাঁতের চিকিৎসাও সঠিকভাবে দিতে পারেন না। আমার আত্মীয়ের এক দাঁতের চিকিৎসা করতে গিয়ে ভুল করে অন্য দাঁত তুলেছেন। এখন আবার চোখের চিকিৎসাও করছেন, আমরা এর বিচার চাই।
অভিযোগ রয়েছে, ডাঃ আব্দুল হাকিম নিজে উপস্থিত না থেকে নিয়মিত অন্যের মাধ্যমে নিজের নামের প্যাড ব্যবহার করে অন্যের মাধ্যমে চিকিৎসা দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি মোবাইল ফোনে কোনো উত্তর না দিয়ে দেখা করতে বলে সংযোগ কেটে দেন।
মহিপুরের বাসিন্দা সোহেল হাওলাদার বলেন, সবাই জানে হারুন দাঁতের চিকিৎসক, তার ভাই চোখের ডাক্তার। কিন্তু হারুন প্রায়ই ভাইয়ের প্রেসক্রিপশনে চোখের চিকিৎসা দেন, যা রোগীদের সঙ্গেপ্রতারণার সামিল।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, একজনের প্রেসক্রিপশনে অন্য কেউ চিকিৎসা দিতে পারেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ খালেদুর রহমান মিয়া বলেন, অন্যের প্যাডে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ নেই, এটি গুরুতর অপরাধ। শিগগির আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীরা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে দ্রুত তদন্ত ও কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৯:৩৩ ● ২৪৬ বার পঠিত