
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, ছাতক, সুনামগঞ্জ
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও, বাস্তব চিত্রে রয়েছে নানা অসংগতি। হাসপাতালের সেবার মান ও অবকাঠামো নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছাতক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দেশের ১৯তম এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। বর্তমানে এটি ৪৯০টি উপজেলার মধ্যে ১১তম এবং বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, সেবা ও অবকাঠামোর সঙ্গে এই স্বীকৃতির কোনো মিল নেই। অনেকেই একে “হাস্যকর স্বীকৃতি” বলে উল্লেখ করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সামান্য জ্বর বা কাশি হলেও রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট শহরের হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের শৌচাগারের অবস্থা নাজুক, আলো কম এবং চিকিৎসক সংকট রয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম অভাবের কারণে রোগীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। ভুল ওষুধ প্রদানের এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগও উঠেছে।
ফেসবুক ও স্থানীয় অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, চিকিৎসকরা অনেক সময় ওষুধের বানান ভুল করেন, রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থ হন এবং জটিল রোগ যেমন স্ট্রোক বা হার্ট ব্লক শনাক্ত করতে পারছেন না। রাতের সময়ে সেবা আরও দুর্বল হয়; জরুরি রোগীর চিকিৎসা না করে ডাক্তাররা সকালে আসতে বলেন। নার্সদের আচরণও রূঢ় এবং ওষুধ বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোঝানো হয় না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত আরেফিন বলেন, ছাতক প্রথম হওয়া গর্বের বিষয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও সেবার মান উন্নয়নে কাজ করছি।
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, ছাতকে রোগীর সংখ্যা ও ডেলিভারি অনুসারে স্বাস্থ্যসেবা যথেষ্ট ভালো। ডাক্তার সংকট সারা দেশে, তবু ছাতক মেডিকেল ২৪ ঘণ্টা সেবা দিচ্ছে। এখানে সিজারিয়ান অপারেশনও অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশি হয়। সমালোচনা করা ঠিক নয়।