
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে অনশন করেছেন এক নারী। পরে হুমকি পাওয়ায় অনশন ভেঙে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী মোল্লা বাড়িতে অনশন করেন ওই নারী ছালমা বেগম। তিনি মির্জাগঞ্জ ইয়ার উদ্দিন খলিফার দরবারে হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত সোহাগ মল্লিকের বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদ, সংসার ভাঙানো, ভুয়া বিয়ে, গর্ভপাত ও হুমকির অভিযোগ এনেছেন।
ভুক্তভোগী ছালমা বেগম বলেন, সোহাগ মল্লিক তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিয়ের প্রলোভনে তাকে ৮ বছরের সংসার ভেঙে ডিভোর্স করাতে বাধ্য করেন। পরে তিন বছর ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকেন। একপর্যায়ে ভুয়া কাজী সাজিয়ে বিয়ের নাটক করেন। গর্ভধারণ করলে সোহাগ তাকে ইটালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, এখন সোহাগ তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন না বরং ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন। তাই স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তিনি সোহাগের বাড়িতে অনশন করেন।
অপর এক নারী অভিযোগ করেন, দরবার শরীফের মানতের অর্থ আদায়কর্তার স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে সোহাগ পাশবিক নির্যাতন চালায়।
অভিযুক্ত সোহাগ মল্লিকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি প্রথমে ফোন রিসিভ করলেও কথা বলেননি, পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, সোহাগ মল্লিকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের কথা শুনেছি। তাদেরকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।