
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ:
স্বামীর মৃত্যুর পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও দ্বিতীয় বিয়ের পর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অনামিকা লাকি নামের এক নারী। পূর্বের স্বামীর দেওয়া জুয়েলারি দোকান ও স্বর্ণালঙ্কার ফিরে পেতে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন নওমুসলিম অনামিকা লাকী।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন অনামিকা লাকি জানান, ২০০৫ সালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী এলাকার জুয়েলারী ব্যবসায়ী অসীম কুমার সাহার সাথে বিয়ে হয় তার। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি কন্যা সন্তান হয়। ২০২০ সালে কিডনি ও ফুসফুস জনিত রোগে মারা যায় অসীম সাহা। এর পর অনামিকা নিজেই ব্যবসার হাল ধরণে। এ দিকে সম্পত্তির লোভে অনামিকার দেবর ও ভাসুর নিজে এবং অনামিকার বড় মেয়ের জামাইকে দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালে তার জুয়েলারী দোকান থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামালও চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন অনামিকা।
তিনি বলেন, “ইসলাম ধর্মের প্রতি আগ্রহ ও নিরাপত্তার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি।” এরপর চলতি বছর ৫ মে স্থানীয় দলিল লেখক আলমগীর হোসেন বিশ্বাসকে বিয়ের পর তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এছাড়া সেখানকার বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হুমকি ও দোকানে তালা লাগানোর অভিযোগও করেন লাকি। তিনি থানায় অভিযোগ করেও বিচার না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান।