
বানারীপাড়া (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বানারীপাড়ায় ঘুর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ ৮টি ইউনিয়নে গাছ পড়ে পল্লী বিদ্যুতের ভেঙ্গে যাওয়া অসংখ্য খুটি ও ছিড়ে যাওয়া তার এবং মিটার পাঁচ দিনেও সংযোগ দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর এজিএম মতিউর রহমান বলেন, তাদের লোকজন অনেক চেষ্টা করে পৌর শহর সহ পাশর্^বর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন চালু করেছেন। তবে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের সব গ্রামে বিদ্যুৎ লাইন চালু করতে তাদের আরও ১০-১২ দিন সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ এ উপজেলার প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে প্রায় ১২ কেটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উপজেলা প্রকৌশলী মো.হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উপরে যাওয়ার পাশাপাশি গাছ পড়ে ও পানিতে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই ভাবে ঘুর্ণিঝড়ে এ উপজেলার ৩৯৯ হেক্টর জমির রোপা আমন, ৯০ হেক্টর জমির শাক সব্জী, ২০ হেক্টর কান্দির কলা, ২২ হেক্টর পেপে, ১৭ হেক্টর পান ও সাড়ে ৭ হেক্টর জমির ধনিয়ার ক্ষতি হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসার মো.ওলিউল আলম জানিয়েছেন। এ কারণে সুযোগ বুঝে বন্দর বাজারের ব্যবসায়ীরা পিয়াজ, রসুন ও সব্জীর দাম কেজি প্রতি ৬০-৭০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন। বৃহস্পতিবার বানারীপাড়া বন্দর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা প্রতিকেজি পিয়াজ ১৩০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকায় ও রসুন ১১০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৭০ টাকায় বিক্তি করছেন। একই ভাবে ২০ টাকা কেজি দারের আলু ৫ টাকা বৃদ্ধি করে ২৫ টাকায়, বেগুন ৬০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা ও গাজর ১৩০ টাকা, সিম ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এছাড়াও ৪০ টাকা পিচ লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার দর বাড়াতে না পারেন, সে ব্যাপারে মনিটরিং করা হবে।
জিএমআর/এমআর