যারা গ্রেফতার হচ্ছে তারা কেউ কেঁচো বা চুনোপুঁটি নয়: তথ্যমন্ত্রী

হোম পেজ » রাজনীতি » যারা গ্রেফতার হচ্ছে তারা কেউ কেঁচো বা চুনোপুঁটি নয়: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯


যারা গ্রেফতার হচ্ছে তারা কেউ কেঁচো বা চুনোপুঁটি নয়: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যাদের ধরছে, তাদের কেউ কেঁচো বা চুনোপুঁটি নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বছেলেন, এর পেছনে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিগত সপ্তাহে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ঢাকায় যুবলীগ নেতাদের ‘৬০টি ক্যাসিনো চালানোর’ খবর আসে সংবাদমাধ্যমে।
বুধবার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবসহ চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র‌্যাব। অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ওই ক্লাবের সভাপতি যুবলীগের ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকেও গ্রেফতার করা হয়। এর দুই দিনের মাথায় শুক্রবার ঢাকার কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ও ধানম-ি ক্লাবেও অভিযান চালায় র‌্যাব। কলাবাগান ক্রীড়াচক্র থেকে ক্লাব সভাপতি কৃষক লীগ নেতা সফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজনকে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। ধানম-ি ক্লাবের বারে কী পরিমাণ মদের মজুদ আছে, সেই হিসাব জমা দিতে বলা হয়। যাদের ধরা হচ্ছে তাদের পেছনে কারা রয়েছে- এমন প্রশ্ন রাখা হলে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যাদের ধরা হচ্ছে কোনোটাই কেঁচো নয়, কোনোটাই চুনোপুঁটি নয়। যাদের ধরা হয়েছে তারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে, এমনকি মন্ত্রী পর্যায়েও ‘কমিশন’ দিয়েছে বলে যে খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে, সে বিষয়েও তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
এর জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত তারা যে কথাগুলো বলেছে, সেগুলো পত্র-পত্রিকায় আমি দুই এক জায়গায় দেখেছি, কিন্তু এ কথাগুলো স্টিল নট ভ্যালিডেটেড। অবশ্যই তাদের সাথে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ তৃতীয়বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেক অনুপ্রবেশকারী আমাদের সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের ঢুকেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি ক্যাসিনোতে চালানো অভিযানে সরকার দলীয় দুই নেতাকে গ্রেফতারের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কেঁচো খুড়তে আওয়ামী লীগের মধ্য থেকে সাপ বের হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান) তো বড় অজগর সাপ, সব গিলে খেয়ে ফেলে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন, সেখানে এটির জন্য সরকারকে বিএনপির সাধুবাদ জানানোর দরকার। যেখানে মাদক কিংবা ক্যাসিনো বা অনিয়ম হচ্ছে সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। সেক্ষেত্রে কে কোন মতের বা কোন পথের সেটি দেখা হচ্ছে না। যেটি বিএনপির আমলে করা হয়নি। বিএনপির আমলে তারা দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। হাওয়া ভবন বানিয়ে প্রত্যেক ব্যবসায় ১০ পার্সেন্ট কমিশন বসানো হয়েছিল। খোয়াব ভবন বানিয়ে আমোদ-ফুর্তি করা হতো। সেই জায়গায় প্রধানমন্ত্রী এখন সমস্ত অনিয়ম, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন। এতে তো বিএনপির খুশি হওয়ার কথা। বিএনপির সাধুবাদ জানানোর কথা। আর তাদের ব্যর্থতার জন্য লজ্জা পাওয়ার কথা। সেটি না বলে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রশ্ন করবো-নিজেদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হচ্ছেন বড় অজগর সাপ, সেতো সব খেয়ে ফেলে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সেই জায়গায় রেখে, নিজেরা পরপর পাঁচবার দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন। তাদের তো এ নিয়ে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১০:৫৭ ● ৩০৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ