জি কে শামীমের বিরুদ্ধে ৩ মামলা

হোম পেজ » সর্বশেষ » জি কে শামীমের বিরুদ্ধে ৩ মামলা
শনিবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯


জি কে শামীমের বিরুদ্ধে ৩ মামলা

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি চালিয়ে আসা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে র‌্যাব।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গুলশান থানায় নিয়ে যান র‌্যাব সদস্যরা। সেখানে তাদের রাখা হয়েছে থানা হাজতে। গুলশান থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, র‌্যাব তিনটি অভিযোগ দিয়েছে। এর একটি মাদক আইনে, একটি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এবং আরেকটি অস্ত্র আইনে। এসব মামলার আসামি হিসেবে জি কে শামীমসহ আটজনকে রিমান্ডে চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব। তখন শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। জুয়ার আখড়া বন্ধে অভিযানের মধ্যে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি যুবলীগ পরিচয় ব্যবহার করলেও যুবলীগের শীর্ষনেতাদের দাবি, শামীম সংগঠনের কোনো পদে ছিলেন না। শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। গণপূর্ত ভবনে ঠিকাদারি কাজে তার দাপটের খবর ইতোমধ্যে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।
র‌্যাব সদর দপ্তর, সচিবালয় ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ এখন শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে রয়েছে। এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের তিন ছেলের মধ্যে শামীম দ্বিতীয়। কয়েক বছর আগেও বাসাবো কদমতলার একটি বাড়িতে থাকতেন শামীম। এখন থাকেন বনানীর ওল্ড ডিওএইচএসে নিজের ফ্ল্যাটে। আর নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনটি তিনি তার জি কে বিল্ডার্স অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের অফিস হিসেবে ব্যবহার করেন। এর বাইরে বাসাবো, ডেমরা ও নারায়ণগঞ্জে পাঁচটি বাড়ি এবং বিভিন্ন স্থানে শামীমের নামে প্লট ও জমি থাকার তথ্য এসেছে গণমাধ্যমের খবরে। ঢাকা চেম্বারের সদস্যদের তালিকাতেও তার নাম রয়েছে। শামীমের চলাফেরার সময় শটগানধারী ছয় দেহরক্ষীর ‘প্রটেকশন’ নিয়ে গত শুক্রবার সকালেই কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরকম কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গণপূর্ত ভবনের ‘বেশিরভাগ ঠিকাদারি কাজই’ জিকে শামীম নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও তিনি ছিলেন গণপূর্তের ‘ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি’।
গণমাধ্যমের খবরে শামীমকে যুবদলের সাবেক এবং বর্তমানে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। জি কে বিল্ডার্সের অফিসে সাজানো বিভিন্ন ছবি ও সম্মাননা স্মারকে তার পরিচয় লেখা হয়েছে ‘নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক’। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু বলেন, যুবলীগে জি কে শামীমের কোনো পদ নেই। সে নিজেই নিজেকে সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বলে বেড়াতো। এ নিয়ে যুবলীগে কয়েক বার আলোচনাও হয়েছে। বাবলু বলেন, জি কে শামীম একসময় যুবদলের সাবেক সহ সম্পাদক ছিল। এখন সে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বলে শুনেছি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, জি কে শামীম নামে আমাদের কোনো সহ সভাপতি বা সদস্যও নাই। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, কে এই জিকে শামীম? যুবলীগের কোনো পদে সে আছে? আমি যুবলীগের চেয়ারম্যান আমি তো তাকে নেতা বানাইনি। যুবলীগের কমিটির কোথাও তো তার নাম নেই। তাহলে আপনারা কেন বলছেন জি কে শামীম যুবলীগের নেতা? আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া রাতে ২০১৭ সালে ঘোষিত কমিটির তালিকা দিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে জি কে শামীম নামে কারও অস্তিত্বই নেই। শামীমের দলীয় পরিচয় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ‘অসত্য ও বিভ্রান্তিকর’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, ২০১৭ সালের কমিটি করার সময় দলের ভেতর থেকেই সহ সভাপতি পদে শামীমের নাম প্রস্তাব করেছিলেন একজন। তবে শামীমের বিএনপি সংশ্লিষ্টতার তথ্যের কারণে সেই প্রস্তাব আর ধোপে টেকেনি। স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় এ নিয়ে তখন খবরও ছাপা হয়েছিল।
শামীমের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে র‌্যাবের নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলম অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, দলীয় পরিচয় দল থেকেই নিশ্চিত করা হবে। আর শামীম ঠিকাদারী ব্যবসার আড়ালে অবৈধ কিছু করেছেন কি না- সেটা তারা দেখবেন। নিকেতনের যে ভবন থেকে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটির মালিক তিনি নিজেই। পাঁচ তলা ভবনের পুরোটাই জিকে গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভবনের ভেতরে প্রতিটি ফ্লোরে যাওয়ার জন্য ডুপ্লেক্স ধাঁচের সিঁড়ি রয়েছে। পাশাপাশি আছে লিফটের ব্যবস্থা। নিচ তলায় ঢুকতেই ওয়েটিং রুম, গ্যারেজ। দ্বিতীয় তলায় বড় কনফারেন্স রুম, পাশে কয়েকটি অফিস কক্ষ। তিন তলায় বসেন জিকে শামীম। কোম্পানি চেয়ারম্যান জি কে শামীমের চেম্বারের সঙ্গে একটি বিশ্রাম কক্ষও রয়েছে। জিকে বিল্ডার্সের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কক্ষ চার তলায়। বিভিন্ন ফ্লোরে কর্মীদের টেবিল চেয়ার সাজানো রয়েছে। অফিসের বোর্ড রুম ও বিভিন্ন কক্ষে রয়েছে শামীমের ‘দলীয় ও সামাজিক’ কর্মকা-ের নানা ছবি। তিন তলার একটি কক্ষে সাজানো রয়েছে ক্রেস্ট ও সম্মাননা পদক। র‌্যাবের অভিযানের কথা শুনে শামীমের ফুপাত ভাই মহিউদ্দিন লিটু ছুটে আসেন নিকেতন। সেসময় তিনি বলেন, প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ এখন জিকে বিল্ডার্সের হাতে রয়েছে। এর মধ্যে র‌্যাব সদর দপ্তর, গাজীপুরে র‌্যাব ফোর্সেস ট্রেনিং সেন্টারসহ র‌্যাবের ২২টি ভবন নির্মাণে প্রায় ২২ শ কোটি টাকার কাজ রয়েছে। সচিবালয়ে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার তিনটি ভবন নির্মাণের কাজ করছে শামীমের প্রতিষ্ঠান।
জিকেবির মার্কেটিং ম্যানেজার মো. সুজন বলেন, বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স, আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবন, নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দীর হাসপাতালের সম্প্রসারণ কাজ এবং মহাখালীর দুটি হাসপাতালে নতুন ভবন নির্মাণের কাজও তারাই করছেন। শামীমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম র কাছে দাবি করেন, র‌্যাব যেসব টাকা ও এফডিআর জব্দ করেছে, তার ‘পুরোটাই বৈধ’। এই মুহূর্তে প্রায় ১০ হাজার লেবার আমাদের বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করছে। আর প্রায় দেড়শ অফিস স্টাফ রয়েছে। প্রতিদিন এত লোকের বেতন দিতে, প্রজেক্টের জিনিসপত্র কিনতে নগদ টাকার প্রয়োজন হয়। প্রতিদিনই কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয় এই অফিসে আর সাইটে।
তবে র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, এসব ঠিকাদারি কাজ শামীম নিতেন প্রভাব খাটিয়ে বা ভয় দেখিয়ে। অন্য কোনো ঠিকাদার তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সাহস পেত না। র‌্যাব সদরদপ্তরের কাজ শামীমের কোম্পানি কীভাবে পেল জানতে চাইলে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, শামীম কয়েকজন পার্টনার মিলে র‌্যাবের ভবন নির্মাণ কাজ করছে বলে জেনেছি। তবে সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। জিকেবি অফিসে অভিযান শেষে র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শামীমের বিরুদ্ধে ‘চাঁদাবজি ও টেন্ডারবাজির’ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পরই তারা এই অভিযানে এসেছেন।
আর র‌্যাবের নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলম বলেন, সুনির্দিষ্ট দুটি বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। তার একটি মানিলন্ডারিং এবং তার যে অস্ত্র রয়েছে, তার যারা দেহরক্ষী রয়েছেন সাতজন, তারা কিছুকিছু জায়গায় অস্ত্র প্রদর্শন করে টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি করেছেন, সেই অভিযোগগুলো রয়েছে। একই সাথে কিছু মদ পাওয়া গেছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মূলত এই অপরাধের কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সারওয়ার আলম বলেন, শামীমকে আদালতে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি নির্দোষ। তা করতে পারলে তিনি অবশ্যই ছাড়া পাবেন। না করতে পারলে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। তবে অভিযাগগুলো এখনও তদন্তাধীন। যে অর্থ এফডিআর করা হয়েছে, তা অবৈধ পন্থায় অর্জন করা হয়েছে- এমন তথ্য রয়েছে। কীভাবে এসব অর্থ পেয়েছেন এটা প্রমাণ করার দায়িত্ব তার। তিনি বৈধভাবে অর্জন করতে পারেন, কিন্তু বৈধকাজের আড়ালে অবৈধ কিছু রয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য তাকে আটক করা হয়েছে। নিকেতনের ওই এলাকায় শামীমের অফিস ভবন ছাড়া আশপাশে সবগুলো বহুতল ভবনই আবাসিক। সেসব ভবনের নিরাপত্তা কর্মী বা বাসিন্দাদের অধিকাংশই নাম প্রকাশ করে শামীমের বিষয়ে কথা বলতে চাননি। পাশের একটি ভবনের একজন নিরাপত্তাকর্মী বলেন, জি কে শামীম যখন অফিসে আসা-যাওয়া করত তখন তার বাহিনী বিকট শব্দের হর্ন বাজাতো। আসা-যাওয়ার সময় অন্যভবন থেকে গাড়ি বের করার চেষ্টা করলেও তার লোকজন এসে শাসিয়ে যেত; বলত- স্যার বের হবে। তোমরা পরে বের হও। আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, রাত-বিরাতে বিকট শব্দে হুইসেল শুনে ঘুম ভাঙলে তারা বুঝতে পারতেন, শামীম এসেছেন বা যাচ্ছেন। তবে ভয়ে এ নিয়ে কেউ কথা বলত না। আমরা মনে করতাম, এখানে সরকারের খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেউ থাকেন। অনেক সময় পুলিশের অনেকে এখানে যাতায়াত করত। প্রতিদিনই একাধিকবার সে এখানে যাওয়া আসা করত। সাঙ্গপাঙ্গরাও থাকত। শামীমের নিরাপত্তায় তিনটি মোটর সাইকেলে ৬ জন থাকতেন সামনে পেছনে। সঙ্গে কালো কাচের এসইউভিও থাকত। অবশ্য ওমর ফারুক আকাশ নামে একজন নিজেকে শামীমের ‘একজন ভক্ত’ দাবি করে বলেন, শামীম ভাই অবৈধ কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত না। সরকারের বড় বড় উন্নয়ন প্রজেক্টের কাজ করেন। ভয়ের কিছু ছিল না; অন্যান্য ঠিকাদারের সঙ্গে সুস্থ প্রতিযোগিতা করেই কাজ পেতেন উনি।
ঢাকার নিকেতনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সে অফিসের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ সাজানো হয়কোম্পানির এমডি ও চেয়ারম্যান এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীমের নামে বিভিন্ন সংগঠনের দেওয়া ক্রেস্ট আর সম্মাননা পদক দিয়ে। ‘ফিদেল কাস্ট্রো অ্যাওয়ার্ড ২০১৭’, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’, ‘মাদার তেরেসা গোল্ড মেডেল ২০১৭’- এরকম ভারী ভারী নামে এসব পদক যারা দিয়েছে, সেসব সংগঠনের নাম খুব একটা কেউ শোনেনি। অবশ্য চলতি বছর জুলাই মাসে বিসিএস পুলিশের ২৫তম ব্যাচের নামে দেওয়া একটি সম্মাননা স্মারকও এর মধ্যে রয়েছে। পাঁচ তলা ভবনের বিভিন্ন কক্ষে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে র‌্যাব মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পাশে জি কে গ্রুপের চেয়ারম্যান এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীমের ছবি! এই শামীমকে রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিল এলাকায় অনেকে চেনেন প্রভাবশালী ঠিকাদার ‘জি কে শামীম’ হিসেবে।
গণপূর্ত ভবনে ঠিকাদারি কাজে তার দাপটের খবর সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামও হয়েছে। গত শুক্রবার সকাল থেকে প্রায় সারা দিন শামীমের নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার এফডিআর, প্রায় দুই কোটি নগদ টাকা, আগ্নেয়াস্ত্র আর মদ জব্দ করেছে র‌্যাব। শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করার পর র‌্যাব কর্মকর্তারা বলেছেন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মুদ্রাপাচারের পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একসময় যুবদলের রাজনীতি করা শামীম পরে যুবলীগে ভেড়েন। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক পরিচয় দিয়েই তিনি প্রভাব খাটিয়ে আসছিলেন। তবে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ বলেছে, জি কে শামীম নামে কেউ তাদের কমিটিতে নেই। জি কে শামীমের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্কও নেই।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৯:৩৭ ● ৩৪৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ