বিজিএমইএ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত

প্রথম পাতা » জাতীয় » বিজিএমইএ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত
শনিবার ● ৬ এপ্রিল ২০১৯


বিজিএমইএ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস:

চার বছর পর তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঢাকার কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনের নুরুল কাদের মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। একই সময় চট্টগ্রামেও ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে, ঢাকায় ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে কালবৈশাখীর দমকা হাওয়া ও ভারি বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমে যায়। অন্যতম নির্বাচন কমিশনার নিহাদ কবির সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। বিকালে ভোটগ্রহণ শেষে দুই কেন্দ্রে গণনার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল স্বাধীনতা পরিষদের নেতা জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেছেন, ভয়ভীতি দেখানোয় তার দুই এজেন্ট আসেননি। প্রার্থীদের মধ্য থেকে আমরা দুজনকে এজেন্ট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কমিশন তা এলাও করেনি। সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের বাইরে এবার স্বাধীনতা পরিষদ ভোটের লড়াইয়ে নামলেও প্রতিটি পদে প্রার্থী দিতে পারেনি তারা। বিজিএমইএ ভবনের নিচ তলায় সম্মিলিত-ফোরাম প্যানেলের নির্বাচনী বুথ, ব্যানার শোভা পেলেও স্বাধীনতা পরিষদের কোনো প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। এবারের নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিত-ফোরাম নামে পূর্ণ প্যানেল দিয়েছে। এই প্যানেলের মূল নেতা হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদী গ্রুপের এমডি রুবানা হক। তিনি বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের স্ত্রী।
রুবানা হক ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলাফল যাই হবে, আমরা তা মেনে নেব। এবারে নির্বাচনে মোট ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য দুই প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৪ জন। মোট ভোটার হচ্ছে ১ হাজার ৯৫৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ১ হাজার ৫৯৭ জন। বাকি ৩৫৮ জন চট্টগ্রামের। ২০১৫ সালে বিজিএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদ ঠিক করে। এরপর থেকে আর নির্বাচন না হয়ে তিন ধাপে এই পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে গড়ে ওঠে ‘স্বাধীনতা পরিষদ’; তারা সমঝোতার মাধ্যমে না করে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব ঠিক করার দাবি তোলে।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ৮:৫৮:৫০ ● ৫১৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ