
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের নেছারাবাদে ‘আলোক শিখা’ নামের একটি সমিতির বিরুদ্ধে সদস্যদের প্রায় ৩০ কোটি টাকার আমানত আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে মোঃ দেলোয়ারের বিরুদ্ধে। সমিতিতে আমানতের টাকা আদায়ের জন্য সমিতির মালিক মোঃ দেলোয়ার হোসেনের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী সদস্যরা।
বুধবার দুপুরে স্বরূপকাঠী শাখার সদস্যরা বানারীপড়া থানাধীন ব্রাম্মনকাঠী গ্রামে জড়ো হয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে প্রায় তিনশতাধিক সদস্যরা দেলোয়ার হোসেনের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই সমিতির পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার ব্রাক্ষ্মনকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আলোক শিখা নামে একটি সমিতির ২৩টি শাখা খুলে ওই সমিতি পরিচালনা করে আসছিলেন। যার মধ্যে নেছারাবাদ উপজেলায় তাঁর তিনটি শাখা রয়েছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগে তিনি উপজেলার তিনটি শাখা থেকে ২০ কোটি টাকা হাতিয়েছেন।
ভুক্তভোগী হাসি ও রেহানা বেগম জানান, তারা সমিতির মালিককে চিনতেন না। তাদের গ্রামের শারমিন নামে এক তরুণীর কথায় প্ররোচিত হয়ে সমিতিতে টাকা রেখেছিলেন। তাদের ২০ লক্ষটাকাসহ গ্রামের বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা আমানত রাখে। এখন সমিতির মালিক দেলোয়ার হোসেন টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করিতেছে। মাঠকর্মী শারমিনের বাসায় গেলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় নাই। দেলোয়ারের বাড়ীতে আসার খবর পেয়ে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমরাসহ তিনশতাধিক সমিতির সদস্য তার বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে দেলোয়ারের কাছে টাকা চাইলে সে আমাদের কাছে কয়েক দিন সময় চায়। তবে আমাদের ধারনা দেলোয়ার আমাদের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাবে।
এব্যাপারে ‘আলোক শিখা’ সমিতির মালিক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বানারাীপাড়া ও স্বরূপকাঠী দুই উপজেলায় আমার ২৩টি শাখা ছিল। বর্তমানে সদস্যদের চাপে একটি শাখাও খুলে রাখতে পারি না। আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে। আমি গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা আমানত পেয়েছি এবং প্রায় ২২ কোটি টাকা সমিতি থেকে ঋন দেওয়া আছে। আমি অফিস খুলতে না পারলে সদস্যদের টাকা দিতে সমস্যা হবে। তিনি আরও বলেন, সদস্যদের টাকা পরিশোধ করতে হলে আমাকে সময় দিতে হবে এবং অফিস খুলতে সহযোগীতা করতে হবে।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে ‘আলোক শিখা’ সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সমিতির মালিককে ফোন করে অফিসে আসার জন্য বলেছি, কিন্তু সে আসে নাই। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএ/এমআর