দুমকিতে প্রতিবন্ধি হরিবালা মাথাগোঁজার ঠাঁই চায়!
প্রথম পাতা »
পটুয়াখালী »
দুমকিতে প্রতিবন্ধি হরিবালা মাথাগোঁজার ঠাঁই চায়!
শুক্রবার ● ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দুমকিতে স্বর্গীয় হেমন্ত বিশ্বাসের প্রতিবন্ধি কন্যা হরিবালা বিশ্বাস (৫০)ও তার একমাত্র বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি সহদর হেমলাল বিশ্বাসের(৪৮) পাশে নেই কেউ। সহায় সম্বলহীন সংখ্যালঘু ভাইবোন পৈত্রিক সূত্রে মাত্র দেড় শতাংশের ভিটিতে নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ হেলে পরা জরাজীর্ণ ঝুপড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হয়ে জন্ম নেয়া কর্মক্ষমতাহীন সহদর ভাইবোন এলাকাবাসীর কাছে চেয়ে চিন্তে খেয়ে না খেয়ে পৈত্রিক ভিটিতে শীত, বর্ষায় চরম দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছে। তারা মাথাগোঁজার ঠাঁই চায়।
উপজেলার ৩নং মুরাদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত হেমন্ত বিশ্বাসের মেয়ে অসহায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি হরিবালা (৫০) ও তার সহদর হেমলাল বিশ্বাস (৪৮) নামে দু’সদস্যের একটি সংখ্যালঘু হতদরিদ্র পরিবারের দুরাবস্থার বাস্তব চিত্র এটি। একসময় সংখ্যালঘু পরিবারটির জমিজমা অর্থবিত্তে ভরপুর থাকলেও আজ তারা চরম অসহায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
গতবৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় সরেজমিন উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সংখ্যালঘু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী পরিবারটির এমন দু:খ-দুর্দশার করুণ চিত্র দেখা গেছে। অন্তত: ৪০/৪৫ বছরের পুরাতন টিনের ছাউনী ও কাঠের বেড়ার জীর্ণশীর্ণ ঘরটি দক্ষিনে এমন ভাবে হেলে আছে যেন ভেঙ্গে পরার উপক্রম। বেড়ার তক্তার কাঠগুলো খুলে খুলে পড়েছে। ছাউনী ভেঙ্গে আকাশ দেখা যায়। এমন ঘর কুকুর-বেড়ালের বসবাস অনুপযোগী। এর মধ্যেই প্রচন্ড শীত ও বৃষ্টিতে ভিজে অসহায় সহদর প্রতিবন্ধি ভাই-বোন জীবন কাটাচ্ছে।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু হানিফ হাওলাদার জানান, পরিবারটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধি এবং দু’জনই কর্মক্ষমতা হীন। বাড়ীর ও প্রতিবেশীদের সাহায্য সহায়তায় বেঁচে আছে। তিনি আরও বলেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হওয়ায় হরিবালার বিয়ে হয়নি। ভাই হেমলালের বিয়ে হলেও বউ টেকেনি। তাই ভাই-বোন মিলে খেয়ে না খেয়ে অতিকস্টে জীবন কাটাচ্ছে। পরিবারটির মাথাগোঁজার একটা ব্যবস্থা করতে পারলে ঝড় বৃস্টি ও শীতকস্ট থেকে রক্ষা পাইতো। তিনি আরও বলেন, পরিবারটিকে সরকারি সাহায্য পেতে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি আবেদন করানো হয়েছে। তবে এখনও কোন সহায়তা আসেনি।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, আসলেই পরিবারটি খুবই অসহায়। বসবাসের উপযুগী একটা ঘর প্রয়োজন। আমি পরিষদের পক্ষথেকে মাঝে মাঝে কিছু খাদ্য সহায়তা দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। পরিবারটিকে স্থায়ী পুণর্বাসন করা প্রয়োজন কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে পারা যাচ্ছে না। তাই অসহায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি পরিবারটির সহায়তায় দেশের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৬:১৯ ●
১২৩ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)