গৌরনদীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪আসামির স্বীকারোক্তি

প্রথম পাতা » বরিশাল » গৌরনদীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪আসামির স্বীকারোক্তি
সোমবার ● ১৯ জুন ২০২৩


গৌরনদীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪আসামির স্বীকারোক্তি

গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরিশালের গৌরনদীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে (১৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারকৃত ৪আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন-উপজেলার মহিষা গ্রামের নাসির মোল্লার ছেলে ইয়াছিন মোল্লা (২০), শরিকল গ্রামের জামাল হাওলাদারের ছেলে শিশির হাওলাদার (২২), মৃত হানিফ বেপারীর ছেলে রেজাউল বেপারী (১৯), বাবুগঞ্জ উপজেলার ঠাকুর মল্লিক গ্রামের শামছুল আলম শিকদারের ছেলে সালমান শিকদার (১৯)। রোববার সন্ধ্যায় বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই আসামিরা  গণধর্ষণ করার লোমহর্ষক বর্ননা দিয়ে জবানবন্দি দেন। বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদীর শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফোরকান হাওলাদার নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের চন্দ্রহার গ্রামের ভিকটিম প্রবাসীর স্ত্রী বাদি হয়ে অভিযুক্ত ৭ জনকে আসামি করে শনিবার রাতে গৌরনদী থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ঘটনাস্থল থেকে আটককৃত ও মামলার এজাহারভূক্ত  আসামি ইয়াসিন মোল্লা, শিশির হাওলাদার, সালমান শিকদার, রেজাউল  বেপারী, রেজাউল করিম পলাশকে  রোববার দুপুরে ওই আদালতে সোপর্দ করে পলাশ বাদে বাকি ৪ আসামির স্বীকারোক্তি জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আবেদন করেন। ওই চার আসামি আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে গণধর্ষণ করার  বর্ননা দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতের বিচারক আসামিদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভিকটিমকে রোববার সকালে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার  বাকি ২ আসামি নজরুল মৃধা ছেলে জিহাদ মৃধা (২০), নুরু চৌকিদারের ছেলে   হৃদয় চৌকিদার (১৯) কে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ভিকটিম ওই  নারী অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকালে আমি শরিকল বাজার সংলগ্ন রেজাউল করিম পলাশের বাড়িতে বেড়াতে যাই। নিজ বাড়ি যাওয়ার উাদ্দেশ্যে  আমি পলাশের বাড়ি থেকে  বেলা ১১টার দিকে হেটে শরিকল  টেম্পো স্ট্যান্ডে রওনা দেই। পথিমধ্যে আমি বেলা সোয়া ১১টার দিকে শরিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছে বেল্লাল রাঢ়ীর চা’য়ের দোকানের সামনে পৌছলে বখাটে ইয়াসিন মোল্লা, জিহাদ মৃধা, হৃদয় চৌকিদার, সালমান শিকদার, রেজাউল বেপারীসহ বখাটে ৬/৭ যুবক আমার পথরোধ করে। এ সময় তারা আমাকে জিম্মি করে জোরপূর্বক বেল্লালের চা’য়ের দোকানের ফিছনে একটি খুপড়ি ঘরের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে বসে বখাটে ইয়াছিন মোল্লা, জিহাদ মৃধা, হৃদয় চৌকিদার জোরপূবর্ক আমাকে (গৃহবধু) পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ভিডিও ধারণ করে তারা বলে রেজাউল করিম পলাশের বাড়িতে গিয়ে পলাশের সাথে কি করেছ? তাকে (পলাশ) বল আমাদেরকে বিশ হাজার টাকা দিতে। এরপর আমাকে নিয়ে তারা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পার্শ^বর্তী পলাশের  বাড়িতে গিয়ে তার (পলাশ) কাছে বিশ হাজার টাকা দাবি করে। পলাশ টাকা দিতে অস্বীকার করলে নরপশুরা  পলাশের সহযোগীতায় পলাশের বসত বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার একটি রুমের মধ্যে নিয়ে পুর্নরায় পালাক্রমে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে  গৌরনদীর শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ পলাশের বাড়িতে পৌছে ঘটনাস্থল থেকে আমাকে (ভিকটিমকে) উদ্ধার ও ৫ জনকে আটক করেন।

এএসআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:১৭:১৫ ● ৭৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ