নেছারাবাদে তরমুজের ভাসমান হাট!

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নেছারাবাদে তরমুজের ভাসমান হাট!
রবিবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২২


নেছারাবাদে তরমুজের ভাসমান হাট!

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

 

গ্রীষ্মের  খরতাপ ও রমজানে মানুষের তৃষ্ণার্ত জীবন তাই সময় উপযোগী ফলের মধ্যে তরমুজের চাহিদা এখন অনেক বেশি। পিরোজপুরের নেছারাবাদের মিয়ারহাট বন্দরের কালিবাড়ি খালে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে জমে উঠছে তরমুজের ভাসমান হাট। প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার দুই দিন বসে তরমুজের ভাসমান হাট। দক্ষিনাঞ্চলের উপকুলীয় এলাকার সামান্য সংখ্যক চাষী ও নেছারাবাদ পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলার অনেক তরমুজ ব্যবসায়ী এ মৌসুমে ওই সকল অঞ্চল থেকে ক্ষেতমূলে তরমুজ কিনে এনে এ হাটে পাইকারি বিক্রি করে।

তরমুজ চাষের জন্য উপকুলীয় অঞ্চলের মধ্যে কলাপাড়া, রাংগাবালি, মহিপুর, চিতলমারি, মুন্সিরহাট, কুয়াকাটা, গোলখালী, চেংরাতলা, তালতলী, গলাচিপা, গাজীপুর, সোনাখালী, ধানখালী, বাদুরা, কুকুয়া, বাংলাবাজার, নলুয়াবাগি, কালাইয়াসহ উপকুলের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ হয়।

ভোলার চরফ্যাশনের নুরাবাদ গ্রামের তরমুজ চাষী মো. বেল্লাল হোসেন ও পটুয়াখালির গলাচিপার নলুয়াবগি গ্রামের চাষী মো. সামসুল হক জানান এ বছর তরমুজের ফলন ও সাইজ ভালই হয়েছে এবং তরমুজের দাম ভাল পাওয়ায় গত বছরের করোনাকালিন আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে লাভের মুখ দেখা যাবে বলে জানান তারা।

নেছারাবাদের তরমুজের ভাসমান হাটে ট্রলারে ট্রলারে বিভিন্ন জাতের ছোট বড় সাইজের তরমুজের পসরা সাজিয়ে বসে থাকে বিক্রেতারা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তরমুজের পাইকারি ক্রেতারা এ মোকাম থেকে তরমুজ ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তরমুজ চালান দেয়া হয়। মিয়ারহাট বন্দরের ব্যবসায়ী মো. হারুন অর রশিদ জানান, এখান থেকে ট্রাক,  লঞ্চ, ট্রলারযোগে রাজধানী ঢাকা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালি, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তরমুজ চালান করা হয়। পাইকাররা কোন জামেলা ছাড়াই এ মোকাম থেকে তরমুজ ক্রয় করে এবং তাদের সুবিদামত দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে পারে। এ মৌসুমে এখানকার এক শ্রেনির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও এ হাট থেকে তরমুজ পাইকারি কিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারসহ গাও গ্রামে ভ্যানে, নৌকায় করে তরমুজ বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে।

এ বছর গরমের শুরুতে রোজা পড়ায় চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি তরমুজের দামও বেড়েছে দ্বিগুন অভিযোগ খুচরা ক্রেতাদের ।

সরেজমিনে মিয়ারহাট কালি বাড়ি খালে তরমুজের ভাসমান হাট ঘুরে দেখা গেছে, বড় সাইজের এক’শ তরমুজ ৩০/৩৫ হাজার টাকা, মাঝারী সাইজের তরমুজ ২০/২৫ হাজার টাকা, ছোট সাইজের তরমুজ ১২/১৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তরমুজের ভাসমান হাটে আসা ঢাকার ব্যবসায়ী মো. ফজলুল  হক জানান  প্রতি বছর এ হাট থেকে পাইকারি ক্রয় করে ট্রাক ও লঞ্চে করে নিয়ে তার আড়তে বিক্রি করেন। তিনি আরো বলেন, পাইকারিভাবে এ বছর তরমুজের দাম বেশি  হলেও তরমুজের সাইজ অনেক ভালো। নেছারাবাদে ওই তরমুজের সপ্তাহে দু’ হাটে প্রায় ৮০/৯০ লক্ষ টাকার তরমুজ পাইকারি ভাবে বিক্রি হয় বলে স্থানীয় সুত্র জানায়।

 

 

আরএ/এমআর

 

বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৪:০৯ ● ৩৮৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ