আমতলীতে পানের বরজ কেটে ঘর নির্মাণ!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে পানের বরজ কেটে ঘর নির্মাণ!
শনিবার ● ২ এপ্রিল ২০২২


আমতলীতে পানের বরজ কেটে ঘর নির্মাণ!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পানের বরজ কেটে ঢাকা জেলা বারের আইনজীবি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির প্যাদা জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃদ্ধ আব্দুল মন্নান সিকদার এমন অভিযোগ করেন। জমি দখলে বাঁধা দেয়ার খাদিজা ও বিউটি নামের দুই নারীকে পিটিয়ে জখম করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার উত্তর গুলিশাখালী গ্রামে শনিবার দুপুরে।
জানাগেছে, ১৯৫৯ সালের আদালতের আদেশে উপজেলার উত্তর গুলিশাখালী গ্রামের মন্নান সিকদার ৩১ শতাংশ জমি গত ৬২ বছর ধরে বসতবাড়ী নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে।  গত ১৫ বছর পূর্বে ওই জমির একটি অংশে পান চাষ করেন তিনি। দুই বছর আগে প্রতিবেশী আজাহার প্যাদা  ওই জমি তার দাবী করেন।  এ জমি নিয়ে মন্নান সিকদার ও আজাহার প্যাদার মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। শনিবার দুপুরে  আজাহার প্যাদার ছেলে ঢাকা জেলা বারের আইনজীবি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির প্যাদার নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন লোক এসে ৫ শতাংশ জমির পানের বরজ কেটে ফেলে এবং জমিতে ঘর তোলা।  এতে তার লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন মন্নান সিকদার। এতে বাঁধা দিলে বিউটি ও খাদিজা বেগম নামের দুই নারীকে পিটিয়ে জখম করেছে তারা। স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বৃদ্ধ আব্দুল মন্নান সিকদার কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আদালতের আদেশে ৬২ বছর ধরে জমি ভোগদখল করে আসছি। আজাহার প্যাদা তার জমি দাবী করে তার ছেলে মনির প্যাদার নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে আমার পানের বরজ কেটে ফেলেছে। ওই জমিতে তারা ঘর নির্মাণ করেছে। বাঁধা দিতে আমার মেয়ে খাদিজা ও ভাইয়ের ছেলের স্ত্রী বিউটিকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
ঢাকা জেলা বারের আইনজীবি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির পানের বরজ কেটে ফেলার কথা অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ৭ দিনের মধ্যে জমি বুঝিয়ে দিতে তহসিলদারকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই অনুসারে আমার বাবার জমিতে আমি ঘর তুলেছি।
আমতলী থানার এএসআই তাইফুর রহমান পান বরজ কেটে ফেলার কথা স্বীকার করে বলেন, ঘর করতে নিষেধ করা হয়েছে। গুলিশাখালী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা সুভাস চন্দ্র বলেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আদেশের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারহা হোসাইন বলেন, রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৯:৫৯ ● ৩৩৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ