তজুমদ্দিনে ৬৬পিস ইয়াবা উদ্ধার, অত:পর সমঝোতা!

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » তজুমদ্দিনে ৬৬পিস ইয়াবা উদ্ধার, অত:পর সমঝোতা!
মঙ্গলবার ● ২৯ মার্চ ২০২২


তজুমদ্দিনে ৬৬পিস ইয়াবা উদ্ধার, অত:পর সমঝোতা!

তজুমদ্দিন  (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

ভোলার তজুমদ্দিনের শম্ভুপুর ইউনিয়নের দক্ষিন খাসের হাট বাজারে এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ৬৬পিস ইয়াবা উদ্ধার করার পর সমযোতার মাধ্যমে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক শফিকুর রহমান এর নেতৃত্বে দক্ষিন সম্ভুপুর বাজারের মনির স্টোরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযোগ সুত্রে যায়, গত ২৮ মার্চ ভোলা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল উপজেলার দক্ষিন শম্ভুপুর বাজারের মনির স্টোরে তল্লাশি চালায়। এসময় দোকানের এক কোনায় একটি সিগারেটের প্যাকেটে কালো পলিথিন মোড়ানো ৬৬পিস ইয়াবা উদ্ধারের দাবি করেন তারা। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী ও দোকানমালিক মোঃ খলিলকে অভিযুক্ত করা হয়। ব্যবসায়ী খলিল জানান, তারা দোকানে প্রবেশ করেই অন্য কোথাও তল্লাশি না করেই ৪-৫ মিনিটের মধ্যেই একটি সিগারেটের প্যাকেট বের করেই তা থেকে ৬৬পিছ ইয়াবার কথা জানায়। কিন্তু এসব ইয়াবা কিনা অথবা তা আসলেই কোথা হতে আনা হয়েছে সেটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। মনির স্টোরের সামনের ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শী ভুঁইয়া ইলেকট্রনিক্সের মালীক লোকমান ভূঁইয়া জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল এসে তাকে দোকান থেকে ডেকে এনে সামনে দাড় করিয়ে রেখে তারা মনির স্টোরে তল্লাশি চালায়। কিছুক্ষণ পর তারা ৬৬ পিছ ইয়াবা উদ্ধারের দাবী করে।

এঘটনার পর স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী ও ইজারাদারগণ মিলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজনের সাথে কথা বলেন। পরে তার সেখান থেকে গিয়ে গরুর হাটের ইজারাদার অফিসে বসে উভয় পক্ষ সমযোতা করে। ব্যবসায়ী লোকমান, জাহাঙ্গীর, বচ্চু হাং ও ইজারাদার ফরিদ পাটওয়ারীর জিম্মায় অভিযুক্ত খলিল কে ছেড়ে দেয়া হয়।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক শফিকুর রহমান মঙ্গলবার সাগরকন্যাকে জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান করি। খলিলের দোকান হতে কোন কিছু উদ্ধার করা যায়নি। কিন্তু, অভিযুক্ত খলিলকে আটক করে গরুর হাটের ইজারাদারের অফিসে দীর্ঘ বৈঠক ও জামিননামার কথা বলে স্বাক্ষর গ্রহনের কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো দাবী করেন, আমরা মানবিক কারনে ও নির্দোষ জেনে তাকে হয়রানী করতে চাইনি। তবে, এটি নিষ্ফল অভিযান হওয়ায় সবার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে।


আরএস/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৫:৪৮ ● ১৬৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ