বিদ্যুতের আলো পেয়ে বেজায় খুশি উপকূলের মানুষ

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » বিদ্যুতের আলো পেয়ে বেজায় খুশি উপকূলের মানুষ
সোমবার ● ২১ মার্চ ২০২২


বিদ্যুতের আলো পেয়ে বেজায় খুশি উপকূলের মানুষ

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপ রাঙ্গাবালী উপজেলা ও গলাচিপা উপজেলার চরবিশ^াস-চরকাজল ইউনিয়নের মানুষ বিদ্যুতের আলো পেয়ে বেজায় খুশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (২১ মার্চ) দেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বাধুনিক পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এর সাথে সাথে উপকূলীয় দ্বীপ রাঙ্গাবালী উপজেলা ও গলাচিপা উপজেলার চরবিশ^াস-চরকাজল ইউনিয়নের মানুষ বিদ্যুতের আলো পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) মালিকানায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ‘পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র’ নামে তৈরি হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম অংশে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট (মোট ১৩২০) মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে আরও ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এতেকরে জাতীয় গ্রিডে পায়রা থেকে মোট ২৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শিজিন পিং কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা ১৩২০ মেঘাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছে দ্বীপ রাঙ্গাবালীর মানুষ। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে অবস্থিত দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালী। এখানকার মানুষ সন্ধ্যা হলেই হারিকেন, কুপির আলোয় রাত যাপন করতেন এবং ব্যাটারি চালিত টর্চ লাইট ছিল রাতের বেলা চলাচলের তাদের একমাত্র অবলম্বন। তাছাড়া এখানকার বেশির ভাগ মানুষ জেলে হওয়ায় মাছ সংরক্ষণের জন্য বরফ পাশের উপজেলা গলাচিপা অথবা কলাপাড়া থেকে সংগ্রহ করত। এখন তারা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। নিজের এলাকাতেই বরফ কলে পাবে বরফ এবং বিদ্যুতের টর্চ লাইটও তারা ব্যবহার করতে পারবে। এতে তাদের খরচ কমে যাওয়ায় তারা অনেক খুশি হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, উত্তরে আগুণমুখা, পূর্বে বুড়াগৌরাঙ্গ ও পশ্চিমে রাবনাবাদ নদী বেষ্টিত। সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে।

এসডি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৪:১৯ ● ৮২৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ