নাজিরপুরে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রথম পাতা »
ঢাকা »
নাজিরপুরে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের নাজিরপুরে মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ভুয়া কাবিনে বিয়ে ও এক মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মাদরাসা ছাত্রী (১৬) কে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষক আবুল হাসান (২০) উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের মুনিরাবাদ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আইয়ুব আলীর ছেলে। আর ওই মাদরাসা ছাত্রী উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের পেনাখালীর এক ডিম বিক্রেতার মেয়ে। সে টুঙ্গিপাড়া একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় মাদরাসা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক ও তার পরিবরের ৬ জনকে অভিযুক্ত করে শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গুরুতর আহত ওই মাদরাসা ছাত্রী জানায়, ধর্ষক আবুল হাসান তার দুর সম্পর্কের আত্মীয়। সে বিভিন্ন সময় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। কিন্তু গত ২৩জুলাই ওই মাদরাসা ছাত্রী তার মামা বাড়ি উপজেলার দেউলবাড়ি ইউনিয়নের তুরকখালী থেকে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলো। এ সময় স্থাণীয় তুরকখালী ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছলে ধর্ষক হাসান ও তার ভগ্নিপতি মেহেদী তাকে (মাদরাসা ছাত্রী) মোটর সাইকেলে করে উজিরপুর উপজেলার হারতাপাড়া গ্রামের ভগ্নিপতির বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে এক মাস আটকে রেখে ধর্ষন করে। পরে ওই মাদরাসা ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ভুয়া কাবিন নামা করে বিয়ে করে। কিন্তু বিগত ২৪ আগষ্ট ধর্ষক হাসান ওই মাদরাসা ছাত্রীকে সেখানে ফেলে পালিয়ে আসে। পরে বিগত ২৯ অক্টোবর ওই মাদরাসা ছাত্রী ওই ধর্ষকের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর দাবীতে উঠলে ধর্ষকের পিতা, মা মারুফা বেগম, ছোট বোন আফিয়া খানম, চাচী বিলকিচ বেগম ও দাদী রহিমোন বেগম তাকে বেধম মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরে স্থাণীয়ারা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, ওই মাদরাসা ছাত্রীর মায়ের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরএইচআর/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৫:০৪ ●
৩৩৫ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)