
শুক্রবার ● ৩০ আগস্ট ২০১৯
মহিপুরে কলেজ অধ্যক্ষের সংবাদ সম্মেলন
হোম পেজ » কুয়াকাটা » মহিপুরে কলেজ অধ্যক্ষের সংবাদ সম্মেলনমহিপুর (কুয়াকাটা) সাগরকন্যা অফিস॥
মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সংবাদপত্রে অসত্য খবর প্রকাশিত হয়েছে দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ কালিম উল্লাহ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় মহিপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্নে কলেজ কমিটি মহিপুর বাজারস্থ খাস পুকুরের উত্তর পার্শ্বের একটি ভিটি কলেজ কমিটি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বরাদ্ধ দেয়। ২৬নং জেএল শিবারিয়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ৩১২৫নং দাগের অংশ থেকে ০.০০৪৪একর জমি কলেজের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বরাদ্ধ দেয়া হয়। তৎকালীন কলেজের উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে ওই ভিটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু জনৈক আঃ ছালাম মুসুল্লী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গায়ের জোরে রাতের অন্ধকারে একটি ঘর র্নিমাণ করেন। ২০০৭ সালে সেনাবাহিনী কর্তৃক খাস জমি উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে ব্যবসায়ীদের মাঝে বরাদ্ধ দেয়া ঘর অপসারণ করা হয়। পরবর্তীতে সকলে ঘর উত্তোলন করলেও মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের ভিটিটি কেউ দখল করেনি।
পরে কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহলের সহযোগীতায় আঃ ছালাম মুসুল্লী গোপনে ডিসিআর দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। কলেজের কর্তৃপক্ষের বাঁধা উপেক্ষা করে রাতের আধারে ঘর উত্তোলন করেন। প্রকৃতপক্ষে ওই ভিটির মালিক মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ। কলেজ থেকে ওই ভিটি জনাব ইউসুফ গাজীকে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু আঃ ছালাম মুসুল্লী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উক্ত ভিটিটি দখল করেন। তখন ইউসুফ গাজীর ঘরের মালামাল নষ্ট হওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে ৪২ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তখন আমার বিরুদ্ধে একটি মামলাটি দায়ের হয়। যা পরবর্তীতে তদন্তে সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, কলেজের ভিটি দখলের প্রতিবাদ করায় তার নামে চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
উল্লেখ, গত ২৭ আগষ্ট কলাপাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদলতে আঃ সালাম মুসুল্লী বাদি হয়ে মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের নামে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন।
এমই/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৪:৫১ ● ৫৩৩ বার পঠিত