সাগরকন্যা প্রতিবেদক, পটুয়াখালী

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী জেলায় রাজনৈতিক সম্প্রীতি জোরদার ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ছয়টি রাজনৈতিক দলের নেতারা দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। চিঠিতে তাঁরা নিজ নিজ দলের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম, পটুয়াখালী-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘আন্তঃদলীয় সম্প্রীতি সংলাপ’-এ এসব চিঠি প্রদান করা হয়। সংলাপটি ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল-এর সহযোগিতায় এবং যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)-এর অর্থায়নে অনুষ্ঠিত হয়।

সংলাপে পটুয়াখালীর প্রধান ছয়টি রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)- এর জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সদস্য, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, যুব প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ছয়টি দলের জেলা পর্যায়ের সাধারণ সম্পাদকরা নিজ নিজ দলের অফিসিয়াল প্যাডে স্বাক্ষরিত চিঠি উপস্থাপন করেন। চিঠিতে নেতা-কর্মীদের সহিংসতা পরিহার, শান্তি বজায় রাখা এবং রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব চিঠির অনুলিপি সংলাপে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, যা রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান জনসমক্ষে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।

সংলাপে আরও জানানো হয়, সহিংসতাবিহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলো গত মাসে একটি যৌথ অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেছিল। এই সংলাপে সেই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয় এবং এর কার্যকর বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

আলোচনায় রাজনৈতিক নেতারা বলেন, কোথাও সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিলে তা প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নেওয়া হবে। উত্তেজনা সৃষ্টি হলে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। অনলাইন ও অফলাইন কোনো মাধ্যমেই ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করা হবে না। একই সঙ্গে নির্বাচনী আইন মেনে চলা এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

সংলাপ শেষে আয়োজকরা বলেন, দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত এই চিঠিগুলো পটুয়াখালীতে রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতার একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাগরিকদের আস্থা আরও জোরদার করবে।