বুধবার ● ৫ নভেম্বর ২০২৫
ডুমরিয়া নেছারিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসা নাজিরপুরে গোপনে অধ্যক্ষ নিয়োগের অভিযোগ
হোম পেজ » পিরোজপুর » ডুমরিয়া নেছারিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসা নাজিরপুরে গোপনে অধ্যক্ষ নিয়োগের অভিযোগ
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, পিরোজপুর
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ডুমরিয়া নেছারিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসায় গোপনে অধ্যক্ষ ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের চেষ্টা চলছে। এমন অভিযোগ এনে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ডুমরিয়া নেছারিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাওলানা মোতাহার উদ্দিন পূর্ববর্তী একটি রেজুলেশনের অজুহাতে গোপনে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন। একই সঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৫ অক্টোবর ২০২৫ খ্রি. তারিখে জারি করা অফিস আদেশে দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপারিনটেনডেন্ট, সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট ও ইবতেদায়ি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব পদে নিয়োগের সুপারিশ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর মাধ্যমে সম্পন্ন হবে বলেও উক্ত আদেশে উল্লেখ রয়েছে। তবুও সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উক্ত মাদ্রাসায় নিয়োগ কার্যক্রম চালানোর অভিযোগে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এ ধরনের গোপন নিয়োগ প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ ও বেআইনি হতে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও অনিয়মের জন্ম দেবে। তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গোপনে অবৈধ নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের জন্য ইউএনও’র হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
শিক্ষার্থী অভিভাবক রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও সভাপতি গোপনে অধ্যক্ষ নিয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক এবং এই বেআইনি নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করুক।
আর এক অভিভাবক শামসুল আলম বলেন, মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করার মতো এ ধরনের গোপন নিয়োগের কথা জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নিয়োগ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাওলানা মোতাহারউদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটার কোনো বাস্তবতা নেই। সরকার এসব পদে নিয়োগ বন্ধ করেছে, তাই আমরা কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছি না। যারা অভিযোগ করেছে, তারা নানা সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ করে থাকে। এটা হয়রানিমূলক অভিযোগ।
প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলা ওয়ালী উল্লাহ বলেন, যেহেতু ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দাখিল হয়েছে, তিনি বিষয়টি দেখবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া শাহনাজ তমা বলেন, আমি প্রশিক্ষনে জন্য দপ্তরে নেই। এ বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য তিনি বলেন।
ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শপথ বৈরাগী বলেন, এবিষয়ে এখনও অভিযোগ আমি হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরএইচএম/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৬:০৮ ● ১৫৫ বার পঠিত
