মঙ্গলবার ● ৪ নভেম্বর ২০২৫

বরগুনা-১ বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চনায় আমতলী-তালতলীতে ক্ষোভ, বিদ্রোহী প্রার্থীতার ঘোষণা

হোম পেজ » লিড নিউজ » বরগুনা-১ বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চনায় আমতলী-তালতলীতে ক্ষোভ, বিদ্রোহী প্রার্থীতার ঘোষণা
মঙ্গলবার ● ৪ নভেম্বর ২০২৫


বরগুনা-১ মনোনয়ন বঞ্চনায় আমতলী-তালতলীতে ক্ষোভ, বিদ্রোহী প্রার্থীতার ঘোষণা

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বরগুনা সদর উপজেলা থেকে প্রার্থী ঘোষণা করায় ক্ষোভে ফুঁসছে আমতলী ও তালতলীর প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।

মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক সাংসদ মতিয়ার রহমান তালুকদার ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আমতলী-তালতলী থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা। তাদের অভিযোগ, দুই উপজেলার ভোটারদের মতামত উপেক্ষা করে একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, বরগুনা-১ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে আমতলীতে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৮ এবং তালতলীতে ৯৩ হাজার ৭২৫ জন ভোটার রয়েছে। দুই উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৯২ হাজার ১৩৩, যা বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ে ২৬ হাজার ৩৯২ বেশি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোটার সংখ্যায় এগিয়ে থেকেও আমতলী-তালতলী এলাকা বারবার উপেক্ষিত থেকেছে।

২০০১ সালের নির্বাচনে সাবেক সাংসদ মতিয়ার রহমান তালুকদার আওয়ামী লীগের দুর্গে জয়ী হবার চেষ্টা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে ৫ হাজার ভোটে হেরেছেন। পরে উপ-নির্বাচনে বিএনপিতে যোগ দিয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। তার সময় আমতলী-তালতলীতে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। ২০০৮ সালে আসন পুনর্গঠনের পর এ অঞ্চল বরগুনা সদর আসনের সঙ্গে যুক্ত হয়। এরপর থেকে উন্নয়ন বঞ্চিত থাকে দুই উপজেলার মানুষ।

গত ১৬ বছর ধরে সর্বশেষ নির্বাচিত সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর আমলে উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ জমেছে আমতলী-তালতলীর মানুষের মধ্যে। এবারও মনোনয়নে উপেক্ষিত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় ভোটাররা।

জনৈক ভোটার জিয়া উদ্দিন জুয়েল, আব্দুস সাত্তার ও আব্দুল হক মৃধা সাগরকন্যাকে বলেন, আমতলী-তালতলীর ২ লাখ ৯২ হাজার ভোটারকে উপেক্ষা করে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ১৭ বছর ধরে আমরা উন্নয়ন বঞ্চিত। বিএনপিও এবার আমাদের আশা ভঙ্গ করল। আমরা তারেক রহমানের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, প্রার্থী পরিবর্তন করে আমতলী-তালতলী থেকে মনোনয়ন দেয়া হোক।

বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রায়াত অ্যাডভোকেট খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, আমতলী-তালতলীর ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেব। সাবেক সাংসদ মতিয়ার রহমান তালুকদার বলেন, জনগণই আমার শক্তি। জনগণকে নিয়েই আমি মাঠে থাকব। হারলে জনগণকে নিয়েই হারব।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিদ্রোহী প্রার্থীরা যদি শক্ত অবস্থান নেন, তাহলে বরগুনা-১ আসনে বিএনপির পক্ষে জয় পাওয়া কঠিন হতে পারে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩৬:১৭ ● ১১১ বার পঠিত