সাগরকন্যা প্রতিবেদক, বাগেরহাট

প্রাকৃতিক দুর্যোগ বারবার আঘাত করলেও আমরা হতাশ হই না, বরং নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাই। দুর্যোগকে জয় করে আমরা এগিয়ে যাব বলে মন্তব্য করেছেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ কামরুল হাসান।

সোমবার দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফাশিয়াতলা গ্রামে নবনির্মিত বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জনগণকে সুরক্ষায় এসব আশ্রয়কেন্দ্র হবে নিরাপদ দুর্গ। একই সঙ্গে এই কেন্দ্রগুলো শিক্ষা, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমেও ব্যবহৃত হবে। জনগণের সম্পৃক্ততা থাকলে যেকোনো সংকট সহজেই মোকাবিলা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সাহসী। তারা প্রতিকূলতাকে ভয় পায় না। সরকার ও জনগণ একসাথে কাজ করলে দুর্যোগ কোনো বাধা নয়, বরং নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত, সচেতন ও সংগঠিত থাকতে হবে।

জার্মান সরকারের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জমিদাতা মো. সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে কাজ করছে। আশ্রয়কেন্দ্র শুধু দুর্যোগের সময় নিরাপদ আশ্রয় নয়, এটি স্থানীয় জনগণের মিলনমেলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রকৃতির প্রতিকূলতা ঠেকানো সম্ভব নয়, তবে সচেতনতা, প্রস্তুতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়। প্রশাসন সবসময় জনগণের পাশে থাকবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, এ ধরনের বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র দুর্যোগকালীন নিরাপত্তার পাশাপাশি শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিকাশেও ভূমিকা রাখবে।