বুধবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কলাপাড়ায় বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত, ১২ গ্রামের কৃষকের ফসলহানির শঙ্কা

হোম পেজ » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত, ১২ গ্রামের কৃষকের ফসলহানির শঙ্কা
বুধবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫


কলাপাড়ায় বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত, ১২ গ্রামের কৃষকের ফসলহানির শঙ্কা

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের ভাঙন ক্রমশ বেড়ে চলছে। বিরামহীন বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে উপজেলার অন্তত পাঁচটি স্পটে সাড়ে চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত। রিভার সাইটসহ মূল বাঁধের ৮০ শতাংশ বিলীন হয়ে গেছে। এতে ওই এলাকার মানুষ ও কৃষকরা বিপদগ্রস্ত। ১২ গ্রামের কৃষক বর্তমানে আমন ফসল হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি মেরামত করলেও তা নদীতে বিলীন হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নীলগঞ্জের গৈয়াতলা, বালিয়াতলী, চম্পাপুরের করমজাতলা ও দেবপুরে ভাঙনের তাণ্ডব চলছে। নিজামপুরে অন্তত ৫০০ মিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে আছে। রাবনাবাদ পাড়ের করমজাতলায় প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন হয়েছে। বাঁধ ঘেঁষা ২৭টি পরিবার রাত কাটাচ্ছে ভয় ও আতঙ্কে।

ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টিয়াখালী নদীর তীরের ২৫০টি পরিবার প্রতি বছর জোয়ারে প্লাবিত হয়। নদীর ভাঙন ও বেড়িবাঁধের অযোগ্যতার কারণে ২০০ একর কৃষি জমি, রাস্তাঘাট ও বসতভিটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে ধান খেতে প্লাবিত হবে। এতে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুত টেকসই মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্থায়ী মেরামত নয়, প্রয়োজন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিক পরিকল্পনা, টেকসই বাঁধ, ম্যানগ্রোভকনয়ন ও নদীশাসন। স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নিতে হবে।

পরিবেশ আন্দোলন কলাপাড়া ও ওয়াটারকিপার্যের মো, মেজবাহ উদ্দিন মান্নু বলেন, বেড়িবাঁধ শুধু কয়েকটি গ্রামের সমস্যা নয়, পুরো উপকূলীয় এলাকার মানুষের নিরাপত্তার বিষয়। টেকসই বাঁধ ছাড়া জীবন ও জীবিকা রক্ষা সম্ভব নয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহআলম জানান, নদীর পশ্চিম তীর ভাঙন প্রবণ। রাবনাবাদ পাড়ের বাঁধ ঝুঁকিতে থাকলেও করমজাতলায় জরুরি মেরামত করা হয়েছে। চরবালিয়াতলী ও দেবপুরে নতুন বাঁধের পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৫:৪৬ ● ৮৮ বার পঠিত