
রবিবার ● ১৭ আগস্ট ২০২৫
পবিপ্রবিতে ২কোটি ৬০লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেল দুদক
হোম পেজ » পটুয়াখালী » পবিপ্রবিতে ২কোটি ৬০লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেল দুদক
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, দুমকি(পটুয়াখালী)
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) লোন কিস্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন।
তদন্ত শেষে তিনি জানান, পেনশন বিভাগের উপ-পরিচালক রাজিব মিয়া ও ল্যাব এটেনডেন্ট আবু সালেহ মো. ইছা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের লোনের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ভূয়া স্লিপ তৈরি করে আত্মসাত করেছেন। ইতোমধ্যে কিছু টাকা ফেরত জমাও দিয়েছেন তারা।
অভিযোগ অনুযায়ী, শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর লোন কিস্তির বিপরীতে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে পরিবহন শাখার সেকশন অফিসার সবুর খান ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং হেলপার আবু জাফরের ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
হিসাব শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে রূপালী ব্যাংক পবিপ্রবি শাখার হিসাব থেকে মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার কেনার জন্য লোন চালু করা হয়। নিয়মিত কিস্তি জমা দিলেও কর্মকর্তারা ভূয়া রশিদ দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন। অডিটে গরমিল ধরা পড়লে অভিযুক্তরা প্রায় ৩২ লাখ টাকা ফেরত দেন।
অভিযোগ রয়েছে, উপ-রেজিস্ট্রার মো. খায়রুল বাসার মিয়া (নাসির) ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ফটোমেশিন অপারেটর শামীম খান ৩ লাখ টাকা, ফরিদা বেগম (অডিট সেল) ২ লাখ টাকা, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার আলম ৭৬ হাজার ৭২৪ টাকা ও অফিস সহায়ক মাসুদ ৩ লাখ টাকা সহ আরও অনেকে ভুয়া রশিদে টাকা জমা দেখিয়েছেন।
দুদক জানিয়েছে, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রধান কার্যালয়কে জানানো হবে। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৭:৫২ ● ৯৪ বার পঠিত