শনিবার ● ১৬ আগস্ট ২০২৫

জামিনে বের হয়েই বসতঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেলেন যুবদল নেতা!

হোম পেজ » বরগুনা » জামিনে বের হয়েই বসতঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেলেন যুবদল নেতা!
শনিবার ● ১৬ আগস্ট ২০২৫


জামিনে বের হয়েই বসতঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেলেন যুবদল নেতা!

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)

জামিনে বের হয়েই রাতের অন্ধকারে প্রতিবেশীর ঘর ভেঙে ট্রলারে তুলে নিয়েছেন গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবলের যুগ্ম আহ্বায়ক মলাই চন্দ্র পলাশ ও তার সহযোগীরা- এমন অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ২০-২৫ জন সহযোগী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ এ ঘটনা ঘটান বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী জাকির মাতুব্বর।

জানা গেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর কলাগাছিয়া গ্রামের জাকির মাতুব্বর ২০০১ সালে সরকার থেকে এক একর জমি বন্দোবস্ত পান। সেই জমিতে ২৪ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি। গত বছরের ৭ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর মলাই চন্দ্র পলাশ ওই জমির অন্তত ৮ লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যান। এ ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর জাকির মাতুব্বর বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আদালতে মলাইসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় মলাই কিছুদিন জেল খেটে পরে আপোষ শর্তে জামিনে মুক্তি পান।

অভিযোগে বলা হয়, শুক্রবার দিবাগত রাতে মলাই চন্দ্র পলাশ আবারও ২০-২৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে পরিবারের লোকজনকে জিম্মি করেন এবং একটি ঘরে আটকে রাখেন। এরপর জাকির মাতুব্বরের বসতঘর ভেঙে ট্রলারে তুলে নিয়ে যান।

শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ঘরের ভিটা ফাঁকা পড়ে আছে। কোনো আসবাবপত্র নেই। স্থানীয় রফিক মৃধা ও গ্রাম পুলিশ নয়া মিয়া জানান, জাকির মাতুব্বর ওই ঘরেই বসবাস করতেন। কিন্তু রাতের অন্ধকারে ঘরটি উধাও হয়ে গেছে।

জাকির মাতুব্বরের স্ত্রী রাজিয়া বেগম অভিযোগ করেন, এর আগেও মলাই তাদের ৮ লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়েছিল। মামলা করার পর জেল খেটে জামিনে এসে এবার ঘর ভেঙে নিয়ে গেছে। তিনি এর ন্যায়বিচার দাবি করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে মলাই চন্দ্র পলাশ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানি না। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে।

আমতলী উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক মো. কবির ফকির জানান, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৭:৫৮ ● ৯৬ বার পঠিত