রবিবার ● ২০ জুলাই ২০২৫

পায়রা বন্দরের মাধ্যমে গড়ে উঠছে নতুন অর্থনৈতিক করিডোর

হোম পেজ » পায়রা বন্দর » পায়রা বন্দরের মাধ্যমে গড়ে উঠছে নতুন অর্থনৈতিক করিডোর
রবিবার ● ২০ জুলাই ২০২৫


---

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, পটুয়াখালী

পায়রা বন্দরের মাধ্যমে দেশের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলে একটি সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

 

তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থান, সোজা ও প্রশস্ত চ্যানেল এবং বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা- এই সুবিধাগুলোর কারণে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

 

২০২৬ সালের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে টার্মিনাল চালুর সব প্রস্তুতি শেষ করা হবে। বন্দর হবে প্রযুক্তিনির্ভর, অটোমেটেড এবং স্মার্ট গ্রাহকসেবার উপযোগী।

 

রোববার বেলা ১১টায় কুয়াকাটার শিকদার রিসোর্টে ‘পায়রা বন্দরের মাস্টার প্ল্যান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

তিনি জানান, ৬৫০ মিটার দীর্ঘ আধুনিক জেটি, ৩ দশমিক ২৫ লাখ বর্গমিটার ব্যাকআপ ইয়ার্ড, ১০ হাজার বর্গমিটার সিএফএস, জাহাজ চলাচলের জন্য নিরাপদ ও সরল চ্যানেল রয়েছে।

 

প্যানাম্যাক্স আকৃতির ৪০-৫০ হাজার মেট্রিক টন ওজনের জাহাজ, ৩ হাজার টিইউএস কনটেইনার এবং একসঙ্গে ১৫টি জাহাজের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা থাকবে।

 

ঢাকা ও অন্যান্য অঞ্চলের সাথে নদীপথে জোয়ার-ভাটার অপেক্ষা ছাড়াই স্বল্প খরচে সংযোগ থাকবে। সাশ্রয়ী ট্যারিফ ও যানজটবিহীন সড়কপথেও কার্গো পরিবহন সম্ভব হবে।

 

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল। তিনি বলেন, প্রথম টার্মিনাল চালুর লক্ষ্যে সকল অংশীজনের সহযোগিতা প্রয়োজন। ড্রেজিংসহ কিছু জরুরি কাজ শেষ করতে সরকারের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

 

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাচ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি’র টিম লিডার মেনো মুইজ। সূচনা বক্তব্য দেন বুয়েটের লিড কনসালটেন্ট অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ।

 

বন্দরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও অগ্রগতি তুলে ধরেন সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।

 

মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী পায়রা বন্দরকে ১৯টি কম্পোনেন্টে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট থ্রু মাস্টারপ্ল্যান’। এর আওতায় প্রণয়ন করা হয়েছে বিস্তারিত মাস্টারপ্ল্যান।

 

এতে ট্রাফিক পূর্বাভাস, ড্রেজিং, ইউটিলিটি সংযোগ, প্রশাসনিক ভবন, জেটি, টার্মিনালসহ সব উপাদান অন্তর্ভুক্ত। পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় প্রতিকারমূলক সুপারিশও রাখা হয়েছে।

 

সেমিনারের দ্বিতীয় পর্বে অংশীজনরা বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে মতামত ও পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৪:৪৩ ● ৮৭ বার পঠিত