রবিবার ● ২২ জুন ২০২৫

ছাতক খাদ্যগুদামে নারী কর্মকর্তার ধান কেলেঙ্কারির অভিযোগ

হোম পেজ » সর্বশেষ » ছাতক খাদ্যগুদামে নারী কর্মকর্তার ধান কেলেঙ্কারির অভিযোগ
রবিবার ● ২২ জুন ২০২৫


ছাতক খাদ্যগুদামে নারী কর্মকর্তার ধান কেলেঙ্কারির অভিযোগ

 

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, ছাতক (সুনামগঞ্জ):

ছাতক উপজেলার সরকারি খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে নারী কর্মকর্তা সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের তালিকা উপেক্ষা করে মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষের বিনিময়ে ধান কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা।

সূত্র জানায়, গত ২৪ মে থেকে শুরু হওয়া সংগ্রহ কার্যক্রমে ১৮ জুন পর্যন্ত ৭০০ মেট্রিক টন ধান গুদামে সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকার প্রতি মণ ধানে ১৪৪০ টাকা নির্ধারণ করলেও বাস্তবে কৃষকরা পাচ্ছেন না সেই সুযোগ। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে সস্তায় ধান কিনে ভুয়া কৃষক সাজিয়ে গুদামে সরবরাহ করছেন, প্রতি টন ধানে ৪ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন প্রায় ৩০০ টন ধান বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে, যা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা, কর্মচারী ও লেবার সর্দারদের মাধ্যমে করা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে বিএনপি-আ.লীগের একাধিক ব্যবসায়ী জড়িত।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৮ হাজারের বেশি কৃষক থাকলেও প্রকৃত কৃষকগণ ধান বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন না। বরং পুরনো সরকারি বস্তা ব্যবহার করে ও ঘুষ দিয়ে গুদামে নিম্নমানের ধান প্রবেশ করানো হচ্ছে। এতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও কৃষকের স্বার্থ মার খাচ্ছে।

চাঞ্চল্যকর তথ্য অনুযায়ী, গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওতে এলএসডি কর্মকর্তা সুলতানা পারভীনের মুখেই উঠে এসেছে স্থানীয় কথিত সাংবাদিকদের মাসিক চাঁদা দাবির বিষয়টি। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কৃষি অফিসের তালিকা অনুসারে প্রকৃত কৃষকদের ধান কেনা হচ্ছে।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, গুদাম কর্তৃপক্ষ কীভাবে ধান সংগ্রহ করছে সে বিষয়ে তাদের জানানো হয়নি। তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

 


এএমএল/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৮:১৬ ● ৬০ বার পঠিত