
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
খানকা শরীফের জমি ও সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাত, পাওনা টাকা না দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগ তুলে সৎ চাচা ও চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মিঠু হাওলাদার (৩৫)। শনিবার দুপুরে কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। লিখিত বক্তব্যে মিঠু বলেন, তার বাবা জহিরুল ইসলাম মাইজভান্ডার খানকার সভাপতি ছিলেন এবং ২০০২ সালে খানকার নামে ৯ শতাংশ জমি দান করেন। পরে পায়রা বন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ হলে ক্ষতিপূরণের টাকা ও বরাদ্দ ঘর আত্মসাৎ করেন তার চাচা নাসির হাওলাদার।
মিঠুর অভিযোগ, তাদের ওয়ারিশি জমি নিজেদের নামে রেকর্ড করে চাচা ও তার ছেলেরা পরবর্তীতে ওই জমি শের-ই-বাংলা নৌঘাটি নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণে সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা উত্তোলন করলেও ভাইদের কোনো ভাগ দেননি। বরং তারা ওয়ারিশদের জমির অংশ বুঝিয়ে না দিয়ে টালবাহানা করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, নাসির হাওলাদারের ছেলে হালিম হাওলাদার ২০১৯ সালে তার কাছ থেকে জমি কেনার কথা বলে ৫ লাখ টাকা ধার নেন, যার অডিও প্রমাণও রয়েছে। টাকা না পেয়ে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চারবার সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি। উল্টো চলতি বছরের এপ্রিল মাসে হাসনাপাড়ায় ট্রলারের মালামাল চুরির মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসিয়ে ২৩ দিন জেল খাটানো হয়।
পরবর্তীতে ২০ মে তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম আদালতে সৎ চাচা ও চাচাতো ভাইসহ ১৩ জনের নামে মামলা করেন। সংবাদ সম্মেলনে মিঠু দাবি করেন, তারা তার সম্মান হানি করেছে এবং তাকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাসির হাওলাদার বলেন, “মিঠু জমি নিয়ে দেওয়ানি মামলা করেছে, যা আদালতে চলমান। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।”
তার ছেলে হালিম হাওলাদার বলেন, “মিঠুর সঙ্গে আমার কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি। সব অভিযোগ মিথ্যা।”