দূতাবাসগুলোকে শ্রমিকবান্ধব হতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রথম পাতা » জাতীয় » দূতাবাসগুলোকে শ্রমিকবান্ধব হতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
শনিবার ● ১৯ জানুয়ারী ২০১৯


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে ছায়া সংসদে পরিকল্পনামন্ত্রী

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে শ্রমিকবান্ধব হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, অভিবাসীদের কল্যাণে দূতাবাসগুলো কাক্সিক্ষত সেবা দিচ্ছে না। আমাদের দূতাবাসগুলোকে আরও অভিবাসীবান্ধব হতে হবে। একইসঙ্গে দূতাবাসগুলোকে ২৪ ঘণ্টা প্রবাসীদের সেবা দেওয়া উচিৎ। এজন্য দূতাবাসে কর্মরতদের আরও বেশি সেবমূলক মনোভাব নিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বর্তমান সরকার বিদেশ গমনইচ্ছুক ও প্রবাসীদের কল্যাণে নানামুখি উদ্যোগ নিয়েছে।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। মধ্যপ্রাচ্যে নারীকর্মী পাঠানোকে স্পর্শকাতর উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ভবিষ্যতে বাস্তবতার আলোকে এ বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের প্রবাসী কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করতে হবে। একইসঙ্গে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী প্রেরণে আমাদের জোর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন হতে হবে মানবিক, টেকসই। উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হবে মানুষ। এম এ মান্নান বলেন, বিশ্বায়নের বর্তমান প্রেক্ষিত বিবেচনায় নিরাপদ শ্রম ও অভিবাসনসহ অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তঃসংযোগ বাড়াতে হবে। মানুষ, শ্রম ও পুঁজি কোনও বিশেষ এলাকায় কেন্দ্রীভূত হতে পারে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের বৃহত্তর কল্যাণে বৈশ্বিক চাহিদা বিবেচনায় কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজস্ব মেধা ও সৃজনশীলতা বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। বর্তমান সরকার নানামুখি উন্নয়ন উদ্যোগের মাধ্যমে দেশকে অভাবনীয় সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের তরুণরা সারা পৃথিবীর নাগরিক হয়ে গড়ে উঠছে। বর্তমান সরকার তরুণদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চায়। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘তৈরি পোশাক, চামড়া, ওষুধ শিল্প ইত্যাদি খাতে ছাড়াই অভিবাসন খাত থেকে প্রতিবছর ১৩-১৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। যা আমাদের জিডিপিতে ৭.২৪ শতাংশ অবদান রাখছে। ২০১৭ সালে আমরা সোয়া ১০ লাখ এবং ২০১৮ সালে সাড়ে ৭ লাখ কর্মী বিদেশ পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। চলতি বছর ১২ লাখ কর্মী বিদেশ পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা উচিত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের। আশা করা যায়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইমরান আহমেদ-এর নেতৃত্বে সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণের দ্বার উম্মোচিত হবে। একইসঙ্গে আশা করা যায়, বন্ধ হয়ে যাওয়া আমাদের আরেকটি বড় শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে খুব দ্রুতই আমরা কর্মী পাঠাতে পারবো। সে কারণে আমাদের অভিবাসন কুটনীতি আরো জোরদার করে নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন ব্যয়ের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে হবে। পোষাক খাত আমাদের জিডিপিতে বড় অবদান রাখলেও ভবিষ্যতে এই খাতের চ্যালেঞ্জ অনেক। চাকরি নিয়ে বিদেশ গমন ইচ্ছুকদের উদ্দেশে হাসান আহমেদ বলেন, অভিবাসন ব্যয়, বেতন, কর্ম পরিবেশ, কাজের ধরণ প্রভৃতি সম্পর্কে জেনে বিএমইটি’র সঠিক ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশে গেলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। না জেনে না বুঝে স্টুডেন্ট ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা, ট্রানজিট ভিসার মাধ্যমে চাকরির উদ্দেশে অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়া মোটেও ঠিক নয়।
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি বিজয়ী হয়। পরাজিত হয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এতে বিচারক ছিলেনÑঅধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এসএম মোর্শেদ, সাংবাদিক প্রসূণ আশীষ, সাংবাদিক ঝুমুর বারি, ও ড. মু. শাহ আলম চৌধুরী।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৭:৫৪ ● ৫৬৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ