
দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রতিপক্ষকে (কুত্তা) কুকুর সম্বোধন করায় একই পরিবারের ৬জনকে কামড়ে ও পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাঁটরা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাঁটরার বাসিন্দা মোঃ কালাম সর্দার ও আনোয়ার শিকদারগংদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধ চলছিলো। শুক্রবার বিকেলে প্রতিপক্ষের বাড়ির পাশদিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী বাবুল হাওলাদারের ১০বছরের একটি ছেলে কালাম সর্দারকে ইঙ্গিত করে (কুত্তা) কুকুর কালাম বলে ডাক দেয়। এতে কালাম সর্দার ক্ষিপ্ত হয়ে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষ আনোয়ার শিকদার ও সত্তার শিকদারের বসতবাড়ি-ঘরে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এসময় বাঁধা দিতে এলে ওই পরিবারের শিশু বাচ্চাসহ ৬জনকে মারধর ও কামড়ে জখম করে। আহতরা হলেন, মাসুদা বেগম (৫০), সুমাইয়া আক্তার (২০), ৬ মাসের শিশু পুত্র রাইয়ান, শাকিল (১৪), লাভলী (২৭), তাসমিম (১২)। বর্তমানে আহতরা সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আনোয়ার শিকদারের স্ত্রী লাভলী বেগম জানান, আমাদের পাশের বাড়ির একটা ছেলে তাকে (কালাম সর্দার) কে কুত্তা কালাম বলে ডাক দিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুরসহ আমাদের ৬ জনকে কামড়ে জখম করেছে।
অভিযুক্ত কলাম সর্দারের ভাতিজি মানসুরা আক্তার কামড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাদের সাথে আমাদের পূর্ব বিরোধ আছে। আজ দু’পক্ষই মারামারি হয়েছে তবে কামড়ের বিষয়টি বানোয়াট। মানসুরা উল্টো অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন আগে আমার বাবা ও কাকাকে ওরা সন্ত্রাসী দিয়ে মেরেছে এবং আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মিজান সর্দার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সালাম ও কালাম এর পরিবার অত্যন্ত খারাপ। এরা বিগত দিনেও মৌলভী আঃ বারী, খালিদ হোসেন ও সোবহান সর্দারকে কামড়িয়েছে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস সালাম বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর