চরফ্যাশনে কৃষকের ফসল ছিনতাই!

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » চরফ্যাশনে কৃষকের ফসল ছিনতাই!
বুধবার ● ২০ এপ্রিল ২০২২


চরফ্যাশনে কৃষকের ফসল ছিনতাই!

চরফ্যাশন(ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

 

 

 

চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়ায় আদালত কর্তৃক দেয়া নিষেধাজ্ঞা জমির ফসল বাদীর লোকজন তোলার পর সোমবার সকাল ১০ টার সময় বিবাদী মুক্তিযোদ্ধা খালেক কেরানীর নের্তৃত্বে ফসল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (২০ এপ্রিল) মাকসুদ’র লিখিত অভিযোগে জানান, সেকান্দর ৬৬/৬৭ সালে জেএল নং ১০৩ তৌজি ৩৪ দাগ নং ৯৩ খতিয়ান নং ৩২১ জমি বন্দোবস্ত নেন। একই জমি সেকান্দর  থেকে  বাবুল গং ১৯৯৩ সালে ১ একর ৫০ শতাংশ জমি বায়না মুলে মালিক হয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। উক্ত জমি ভুল বসত দিয়ারায় খাস হিসেবে সরকারের ১ নং খতিয়ান ভুক্ত হলে মুক্তিযোদ্ধা খালেক কেরানী বন্দোবস্ত নেন। সেকান্দার বাদী হয়ে ১০৬/১৯৯৩ সালে খালেক কেরানীর নেয়া বন্দোবস্ত বাতিল করার জন্য  আদালত করলে ২৬ কার্য দিবসে ১৭ এপ্রিল ২০০৫ তারিখে খালেক কেরানীর নেয়া বন্দোবস্ত ভুয়া ভাক্ত চিহ্নিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ভোলা বন্দোবস্ত বাতিল করেন। বাতিল করার পরও বিভিন্ন সময়ে খালেক কেরানীর নের্তৃত্বে ফসল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা, জমির দখল নেয়ার চেষ্টা চালায়। বারবার হয়রানীর শিকার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সেকান্দর পুত্র তাহের বাদী হয়ে চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা ৩৪/২২ খালেক কেরানী সহ ৩ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। একই সময়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দাবী করলে আদালত ১-৩ নং বিবাদীকে স্থিতিশীলতা বজায় রেখে ৭ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নির্দেশ দেন। খালেক কেরানী আদালতে কোন জবাব না দেয়ায় ২ বার ধার্য্য তারিখ পবিবর্তন  করেন আদালত। মাকসুদ আরও জানান, ফরিদ বন্দোবস্ত সুত্রে ৫৭১ খতিয়ানে ৩০ শতাংশ জমির মালিক হন। ঘটনার দিন সকাল বেলা মাকসুদ গংরা জমিতে আবাল বৃদ্ধ বনিতা মিলে মুগডাল তোলার পর খালেক কেরানী দক্ষিণ আইচা থানা থেকে পুলিশ নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্বা জমি দখলের হুমকি দেয় এবং তোলা ডালের বস্তা বোরাকে করে নিয়ে যায়। এ সময় মুগডাল তোলা কিশোরী লিজার ওড়না সহ ফসল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী আলমগীর জানান, মুক্তিযোদ্ধা খালেক কেরানী বারবার পুলিশ এনে আমাদেরকে হয়রানী করছে। রহিমা জানান, খালেক কেরানী তার ঘরে প্রবেশ করে ভাতের পাতিল নিয়ে যায়। নুরুল ইসলাম জানান, নুরে আলম পাটওয়ারীর ঘরে প্রবেশ করে বস্তাবন্দি মুগডাল নিয়ে যায়। মতলব মুহুরীর স্ত্রী জানান, খালেক কেরানী  সহ এসে  অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করন  কলা গাছ কর্তন করে তছরূপ করে আসছে। বেগম জানান, আমাদের ডাল, চুলার উপরে ভাতের পাতিল নিয়ে যায়।  এছাড়া গত বছর মুক্তিযোদ্ধা খালেক কেরানীর পুত্র পুলিশ সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক মামুন এর নামে ভিন্ন দাগে জমি বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতা হয়। পরে ভোগদখলীয়দের অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের পর মামুন উক্ত জমি নিদাবী দিয়ে দিলেও খালেক কেরানী প্রভাব খাটিয়ে বাধাঁ প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা খালেক কেরানীর সাথে আলাপ করলে তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞা শিকার করে ডাল ছিনতাইয়ের ঘটনা অস্বীকার করেন।

থানা সুত্র জানান, মুক্তিযোদ্ধা খালেক কেরানী ঠুনকো অযুহাতে অতিরিক্ত ডিআইজি বা পুলিশ সুপারকে ফোন দিলে উপরের চাপে আমরা মাঠে কাজ বন্ধ রাখার চেষ্টা চালাই এবং তার পক্ষে ২টি মামলাও নেয়া হয়েছে।

 

 

এএইচ/এমআর

 

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৫:৪৫ ● ৩৫৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ